মহানগর ডেস্ক: সন্দেশখালির রেশ পৌঁছেছে দিল্লি পর্যন্ত। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির কার্যনির্বাহী বৈঠকে দিল্লিতে গেরুয়া শিবিররে শীর্ষ নেতৃত্বের বার বার উঠে এসেছে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এদিন বাংলার সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেছেন। বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন।
একযোগে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বাকি বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন শাহ। বিশেষ করে বাংলার সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলেছেন।বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন থেকে মমতাকে নিশানা করে বলেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য তাঁর ভাইপো অভিষেককে মুখ্যমন্ত্রী বানানো। বিজেপি বিরোধীদের একহাত নিয়ে শাহ বলেন, “কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী যেমন তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চান, শরদ পওয়ার তার মেয়েকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান, লালুজি নিজের ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান, তেমনই মমতা দিদিরও লক্ষ্য তাঁর ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানানো।” তৃণমূলের পাশাপাশি এদিন কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন।
এদিন শাহ বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকে নিশানা করে বলেছেন,“হিংসার জনক হল কংগ্রেস। দেশে অস্থিরতা ছড়িয়েছে কংগ্রেসই। কোন রাজ্যে নির্বাচনের সময় হিংসা হয়? আমি আপনাদের হিসাব দিতে চাই। কেরলে ১০০ জন কার্যকর্তা শহিদ হয়েছেন। ৩০০ কার্যকর্তাকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ক্ষমতায় কারা রয়েছে? ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা।” বাংলায় ভোটের সময় হিংসা নিয়েও সরব হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে শতাধিক বিজেপি কর্মী নির্বাচনের সময় হিংসার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিবার নির্বাচনের সময় কারচুপি, হিংসা, খুন-খারাপি হয়। বিহারে আগে যখন জঙ্গলরাজ ছিল, তখনও এইরকম হিংসা হত।” কেবল শাহ নয় সন্দেশখালির কথা শোনা গিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ের গলাতেও। বিজেপি দাবি করে বলেছে, “স্বাধীন ভারতে এত হৃদয় বিদারক ঘটনা আগে কখনও শোনা যায়নি। এটা শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা নয়, গোটা মানবজাতির লজ্জা।”