মহানগর ডেস্ক: এলপিজি (LPG) সিলিন্ডারের দাম দফায় দফায় কমেছে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে । রান্নার গ্যাসের দাম অগস্টেই এক দফায় কমেছিল। এদিকে অক্টোবরের শুরুতেই উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকদের জন্য ১০০ টাকা করে ভর্তুকি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মাঝে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও গ্যাসের দাম কমানো নিয়ে আলাদা আলাদা ঘোষণা করছে। তবে ভর্তুকি পেতে হলে গ্রাহকদের করতে হবে একটি বিশেষ কাজ ।
কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থাগুলিকে এক নির্দেশিকা পাঠায়। তাতে বলা হয়, ভর্তুকিযোগ্য রান্নার গ্যাসের সব গ্রাহকের আধার যাচাই করতে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এদিকে সব ক্ষেত্রে কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার বিষয়ে সরাসরি গ্রাহকদের জানানো হয়নি সরকার বা জ্বালানি সংস্থাগুলির তরফ থেকে। এই সংক্রান্ত কোনও জনস্বার্থমূলক প্রচারও হয়নি। এই আবহে ক্রমেই বাড়ছে ধোঁয়াশা এই নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বেশ কিছু সিলিন্ডার ডিলারদের এই বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে জানায়। এমনটাই জানা গিয়েছে রিপোর্ট সূত্রে।যদিও তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের তরফ থেকে ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামকে গত ১৮ অক্টোবরই এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে গ্রাহকরা এখনও এই বিষয়ে অন্ধকারে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রক্রিয়া ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে,এই আবহে এলপিজি গ্রাহকদের ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে।পাশাপাশি,ডিলাররাও চাপে পড়বেন। প্রশ্ন উঠছে, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযুক্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত আছে গ্যাস সংযোগও। এই আবহে ফের কেন বায়োমেট্রিক তথ্য চাওয়া হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে? সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কোনও এক পরিবারে একাধিক ভর্তুকিযোগ্য গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্যই গ্রহণ করা হচ্ছে এই পদক্ষেপ ।
উল্লেখ্য,কয়েক মাস আগেই এইপিএস পদ্ধতিতে প্রতারণার বিষয়টি সামনে এসেছিল। রাতারাতি গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছিল। প্রতারণার তদন্তে নেমে জানা যায়, বায়োমেট্রিক তথ্যের অপব্যবহার করেই প্রতারণা করা হচ্ছে। জমির রেজিস্ট্রি থেকে শুরু করে রেশন বা সাধারণ ফোনের সিম তোলার ক্ষেত্রেও বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক।