মহানগর ডেস্ক : নির্বাচনে প্রার্থী হতে গেলে প্রার্থীর নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা দিতে হয়। নিজের হলফনামায় রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, শেয়ার বাজারে তাঁর ৪.৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে ৩.৮১ কোটি টাকা। এছাড়া স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে তাঁর দু’টি সেভিংস অ্যাকাউন্টে আছে ২৬ লাখ ২৫ হাজার ১৫৭ টাকা। এছাড়া হাতে নগদ আছে ৫৫ হাজার টাকা। হলফনামা থেকে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে রাহুল গান্ধীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ হল ২০.৪ কোটি টাকা!
রাহুল গান্ধীর হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে রাহুল গান্ধীর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ২৮ শতাংশ। ২০১৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৫.৮৯ কোটি টাকা। এই সম্পত্তি বৃদ্ধির কারণ হিসাবে বলা হয়েছে রাহুল গান্ধীর পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ারের দাম বেড়েছে অনেকটা, তাই তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হল ৯.২৪ কোটি টাকা। স্থাবর সম্পত্তি হল ১১.১৫ কোটি টাকা।
২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীর নিজের নামে কোনও শেয়ারে বিনিয়োগ ছিল না। তবে বিগত পাঁচ বছরে রাহুল শেয়ার বাজারে অনেক টাকাই বিনিয়োগ করেছেন। হলফনামা অনুযায়ী, আইটিসি, হিন্দুস্তান লিভারের মতো ২৫টি শেয়ারে বিনিয়োগ রয়েছে রাহুল গান্ধীর। ‘টিউব ইনভেস্টমেন্ট অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড’ নামক একটি মিডক্যাপ সংস্থাতেও বিনিয়োগ আছে রাহুলের।
এদিকে রাহুলের হলফনামা অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁর আয়ের পরিমাণ ছিল ১,০২,৭৮,৬৮০ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১,৩১,০৪,৯৭০ টাকা উপার্জন করেছিলেন। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে আয় ছিল ১,২৯,৩১,১১০ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১,২১,৫৪,৪৭০ টাকা আয় হয়েছিল। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রাহুলের আয়ের পরিমাণ ছিল ১,২০,৩৭,৭০০ টাকা। রাহুলের দেনার পরিমাণ হল ৪৯,৭৯,১৮৪ টাকা। ন্যাশনাল সেভিংস স্কিম, পোস্টাল সেভিং, বিমা পলিসি এবং পোস্ট অফিস বা কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিমা কোম্পানিতে তাঁর মোট ৬১ লক্ষ ৫২ হাজার ৪২৬ টাকা আছে।
লোকসভা নির্বাচনের জন্য যে হলফনামা দাখিল করেছেন রাহুল, তাতে তিনি দাবি করেছেন, তাঁর কাছে যে পরিমাণ সোনা ও গয়না আছে, সেটার মূল্য হল ৪,২০,৮৫০ টাকা। রাহুল ৩৩৩.৩ গ্রাম সোনার মালিক। দিল্লির মেহরৌলিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে যৌথ মালিকানায় একটি জমি আছে। গুরুগ্রামে এটি অফিস আছে। যেটির মূল্য ১১ কোটি টাকা।