মহানগর ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বি জেলায় এক ১৯ বছর বয়সী মহিলাকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে খুন করল দুই ভাই। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছে, খুনিদের নাম যথাক্রমে অশোক এবং পবন নিষাদ। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগেই তাঁরা জামিনে মুক্তি পায়। মহিলাটিকে কৌশাম্বি জেলার প্রধান সড়কে কুড়াল দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে পবন নিষাদের বিরুদ্ধে ওই মহিলাকেই ধর্ষণের অভিযোগ ছিল, কারণ সে তখন নাবালিকা ছিল।
তখন থেকেই পবন (এবং তার সহযোগীরা) তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য মহিলাটিকে হয়রানি করছিল। পবনের ভাই, অশোক নিষাদ, একটি পৃথক হত্যা মামলার কারণে দুদিনে আগে ছাড়া পেয়েছিল। তখন পবন জেলের বাইরে ছিলেন। তখনই, তরুণীটিকে মামলাটি প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়। কিন্তু সেই পিছিয়ে যেতে অস্বীকার করেছিল, তারপরে ভাইরা তাঁকে ঝোপ বুঝে আক্রমণ করে এবং এক গবাদি পশুর বাসস্থানে তাঁকে জবাই করে। পবন ও অশোক নিষাদ এখন পলাতক। কৌশাম্বীর পুলিশ সুপার , ব্রিজেশ শ্রীবাস্তব বলেছে, “পুরনো শত্রুতা ও মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে একই সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। এক পক্ষের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়েটিকে খুন করেছে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।”
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে, ধেরহা গ্রামে। পুলিশ মহিলার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য দল গঠন করেছে। এই হত্যাকাণ্ড বিজেপি শাসিত রাজ্যে একটি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সূত্রপাত করেছে। হত্যাকাণ্ডটি আবারও নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রতিরোধে ইউপি সরকারের রেকর্ডের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। এটি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করার মাত্র দুই মাস পরে ঘটেছে। ইউপির আম্বেদকর নগর জেলায় এক কিশোরকে হত্যার পর মুখ্যমন্ত্রী বড় মন্তব্য করেছিল।