মহানগর ডেস্কঃ ভোটের মুখে ‘দলে থেকে কাজ না করতে পারার’ বাহানা দিয়ে নেতা-নেত্রীদের দলবদল বাংলার রাজনীতিতে এক নয়া ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার তেমন ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ বিধায়ক তাপস রায়ে’র দল ছাড়ার জল্পনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সূত্রের খবর, বিধায়কের বিজেপিতে যোগ দেওয়ারও সম্ভবনাও রয়েছে প্রবল। জানা যাচ্ছে দল ছাড়ার আগেই বিজেপি নেতৃত্বদের সঙ্গে এক দফার বৈঠকও সেড়ে ফেলেছেন তিনি। ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মে যোগ দিলে তিনি লোকসভা নির্বাচনে এবার উত্তর কলকাতার হয়ে ভোটযুদ্ধে নামতে পারেন বলেই খবর সূত্রের।
দলে থাকাকালীন একাধিকবার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। তাঁর বাড়িতে সুদীপই ইডি পাঠিয়েছে বলেও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তাপস। বর্তমানে বরানগরের বিধায়ক তিনি। তাপসের দল ছাড়া নিয়ে অবশ্য তৃনমূলের একাংশের দাবি দলে থেকে যোগ্য সন্মান পায়নি তিনি, আর তার কারণেই তাপসের এই ক্ষোভ। আগামী ১০ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে তাপসকে বিশেষ সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছেনা। সূত্রের খবর আজ-কালের মধ্যেই দল ছাড়তে চলেছেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। এবং আজকেই হয়ত, সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মুখোমুখি বসতে চলেছেন তাপস। যদিও দল ছাড়া বা পদ্মে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে নিজে এখনো প্রকাশ্যে কিছুই বলেননি তৃণমূল বিধায়ক।দল বদলের চর্চা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘বড় ঘটনা কত সময়েই ঘটে যায়। এই যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইস্তফা দিতে চলেছেন, রাজনীতিতে নামছেন, এও কি ভাবতে পেরেছিল। আমার ব্যাপারে কে কী বলছে জানি না। কোনও কিছু লুকোনোর নেই।যদি কিছু করি, সেটা সকলকে জানিয়েই করব।’
গত শনিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তাপস রায় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত একহাত বিয়ে বলেন, ‘উত্তর কলকাতায় প্রার্থী হিসেবে আমার নাম উঠে আসছে। আমি যাতে টিকিট না পাই, তাই আমার বাড়িতে ইডি ঢোকাচ্ছে। রাজ্যসভা, লোকসভা, রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্তত ৪০ জন আমাকে এই কথা বলেছে। ১২ তারিখ আমার বাড়িতে ইডি তল্লাশি চলছে। আর তখন উত্তর কলকাতায় স্বামীজির বাড়িতে তৃণমূল নেতানেত্রীরা উল্লাস করছিলেন। অনেক যুব নেতানেত্রীও ছিলেন। তবে হ্যাঁ, তাঁরা প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন।”প্রসঙ্গত লোকসভা ভোটের আগেই ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূল কংরসের মুখপাত্র, কুণাল ঘোশ।তবে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিলেও দলেই থাকবেন তিনি এ কথাও জানিয়েছেন প্রকাশ্যে। তবে আসন্ন নির্বাচনে তাঁর মত পুনরায় বদলায় কিনা এখন তা নিয়েই জল্পনা চলছে রাজনীতি মহলে।