মহানগর ডেস্ক : অচেনা-অপরিচিত মহিলাকে আর সম্বোধন করা যাবে না ডার্লিং বলে। যদি ডার্লিং বলে ডেকে থাকেন তবে আপনার ওপর আরোপ হতে পারে সেকশন ৩৫৪এ ধারা। এক মামলার প্রেক্ষিতে এমনটাই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের পোর্ট ব্লেয়ার বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, অচেনা মহিলাকে ‘ডার্লিং’ সম্বোধন করা ফৌজদারি অপরাধ। এক্ষেত্রে সেকশন ৩৫৪এ ধারা আরোপ হতে পারে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মদ্যপ অবস্থায় এক মহিলা কনস্টেবলকে ডার্লিং বলে সম্বোধন রেছিলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ,ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় এক মহিলা কনস্টেবলের উদ্দেশে বলে ‘কেয়া ডার্লিং, চালান করনে আই হ্যায় কেয়া?’ এই মন্তব্যের জন্য জেল হয় তার। সাজা বহাল রাখতে গিয়েই আদালতের পর্দযবেক্ষণ অপরিচিত মহিলাকে ডার্লিং সম্বোধন গণ্য হবে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে।আদালত অভিযুক্তকে তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গেই তার উপর যে দুটি ধারা লাগু করা হয়েছে তার প্রত্যেকটির জন্য় ৫০০ টাকা করে জরিমানাও ধার্য করা হয়।আদালতের সাফ কথা,’একজন পুরুষ, সে মদ্যপ হোক বা না হোক, কোনও অচেনা মহিলাকে, সে কোনও পুলিশ কনস্টেবল হোক বা না হোক ডার্লিং সম্বোধন করা আপত্তিকর। ব্যবহৃত শব্দটি মূলত যৌনগন্ধী। ভারতীয় সমাজের মান এখনও পর্যন্ত এমন নয় যে কোনও পুরুষকে অপরিচিত মহিলাদের সম্মানে ডার্লিং-এর মতো শব্দ ব্যবহার করার জন্য আনন্দে অনুমতি দেওয়া যায়।’
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৫ সালে। অভিযোগকারী মহিলা পুলিশ কর্মী ও তাঁর অন্য়ান্য সহকর্মীরা ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর আন্দামানের মায়াবুন্দের থানা এলাকায় উৎসবের মরশুমে রাস্তায় ভিড় সামাল দিচ্ছিলেন। সেই সময় পুলিশের কাছে খবর আসে একজন ব্যক্তি এলাকায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করছে। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলি। পুলিশ গিয়ে সেই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে। ঘটনাস্থল কিছুটা অন্ধকার থাকায় ওই ব্যক্তিকে সংলগ্ন একটা দোকানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখনই ওই ব্যক্তি এক মহিলা কনস্টেবলকে ‘ডার্লিং’ বলে সম্বোধন করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। আদালত ওই ব্যক্তিকে তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি তার উপর যে দু’টি ধারা লাগু করা হয়েছে সেগুলির প্রত্যেকটির জন্য় ৫০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে ওই ব্যক্তিকে। এর আগে ৩ মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। এরপর সেই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে।