মহানগর ডেস্ক : হরিশ মুখার্জি রোড থেকে পদব্রজে আলিপুর জেলা শাসকের দফতরে গিয়ে নিজের মনোনয়ন জমা দিলেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে তিনি যখন পায়ে হেঁটে মনোনয়ন জমা দিতে যান তখন তাঁর সঙ্গে প্রচুর তৃণমূল কমী-সমর্থকদের ভিড় ছিল। তাঁর পাশেনছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার দুই তৃণমূল নেতা অশোক দেব এবং সওকত মোল্লা।
যাত্রাপথে পুষ্পবৃষ্টি ও শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে অভিষেককে অভিবাদন জানাতে জানাতে জেলা শাসকের দফতরে যায় দলের কর্মীরা। দীর্ঘ এই মিছিলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হরিশ মুখার্জি রোডের বাড়ি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা শাসকের দফতর পর্যন্ত পুরো রাস্তা জনসমুদ্রের রূপ নেয়।
মনোনয়ন জমা দিয়ে অভিষেক বলেন, “আজ আমি মনোনয়ন জমা দিয়েছি প্রবীণদের আশীর্বাদ নিয়ে। দক্ষিণ কললাতার মানুষও রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে আমায় অভিনন্দন যে ভাবে জানিয়েছেন তাতে আমি কৃতজ্ঞ। এটা আমার পাড়া, ডায়মন্ড হারবার আমার কর্মভূমি। আমি আশা করব মানুষ যে ভাবে তৃণমূলের উপর আস্থা রেখেছেন, ডায়মন্ড হারবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না। বাংলার মানুষ বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন দিতে বদ্ধপরিকর। বাংলাকে যাঁরা ছোট করেছেন দেশের কাছে আগামী ৪ জুন যোগ্য জবাব তাঁরা পাবেন, মানুষ তাঁদের যোগ্য জবাব দেবেন।”
এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে একটি রোড শোতে যোগ দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তৃণমূলের দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিক সৌগত রায় উত্তর ২৪ পরগণার জেলা শাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেন। এদিন যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় গড়িয়া থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন জমা দেন। দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীও এদিন তাঁর মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়ন জমা দেন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী সদ্য তৃণমূল ত্যাগী তাপস রায়।
2024 loksabah election
মহানগর ডেস্ক: দুর্গাপুুরের জনসভা থেকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বললেন, “আপনারা এর আগে ১৮টি আসন নরেন্দ্র মোদীজীকে দিয়েছেন, মোদীজী রামমন্দির তৈরি করেছেন, আপনারা যা চাইতেন। আপনারা তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দিন, তাতে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। মনে রাখবেন, অনুপ্রবেশকারীরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট ব্যাঙ্ক। এই ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রণ পেয়েও রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আসেননি।” পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূূল, কংগ্রেস ও বমেদের সমালোচনা করেন। পাশাপাশি সভায় উপস্থিত জনতার কাছে প্রশ্ন করেন, “৪০০ পারনকরছেন তো?”
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে সোমবার সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী জনসভায় এলে যে ভঙ্গিতে বাঙালি মনীষীদের শ্রদ্ধা জানান অমিত শাহের গলাতেও তা শোনা গেল।
তারপরই অমিত শাহ বললেন, “বিশ্বের তিন নম্বর অথনৈতিক শক্তিশালী দেশ হিসাবে ভাতরকে তুলে ধরতে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের আবার ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন। আপনারা ১৮ টি আসন দিয়ে মোদীজিকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। মোদী আপনাদের দাবিকে মর্যাদা দিয়ে রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন ২২ জানুয়ারি, ২০২৪। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রামমন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানান হয়েঋিল কিন্তু ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে মমতা রামকে খারিজ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেবেন?” সভায় উপস্থিত জনতা বলে ওঠেন না।
এরপর একই ইস্যুতে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূলকে সমালোচনা করে অমিত শাহ বলেন, “৩৭০ ধারা জম্মু-কাশ্মীর থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে। রাহুলবাবা(পড়ুন রাহুল গান্ধী) ৩৭০ প্রত্যাহারের বিরোধীতা করেছিলেন। ৭০ বছর ধরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার আটকে ছিল। মোদীজী ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছেন।”
অমিত শাহ বলেন, “গত ১০ বছরে রাজ্যে অনুপ্রবেশ বেড়েছে। অনুপ্রবেশকারীরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট ব্যাঙ্ক। এদের মদতেই সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, “দুর্গাপুর শিল্প শহর। দিদি এই শহরকে দুস্কৃতীদের শহরে পরিণত করেছেন। দিলীপ ঘোষ জিতলে দুর্গাপুরের সব বন্ধ কারখানা আবার চালু হবে।”
রাজ্যের তোলাবাজি, দুস্কৃতীরাজ সহ নানা বিষয় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে অমিত শাহ বলেন, “ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে মমতাদিদি সিএএ-র বিরোধিতা করছে। ভোটে এই রাজ্যে হিংসা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুন্ডাদের কেউ ভয় পাবেন না। সন্দেশখালিতে দুর্নীতি হল, মমতাদিদি তাকে আড়াল করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লজ্জা হওয়া উচিত তিনি একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, আপনার আমলে সন্দেশখালিতে মহিলাদের ইজ্জত লুঠ হল। যারা এই কাজ করেছে, তারা পাতালে লুকোলেও তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেব।”
এদিন অমিত শাহর মুখে দিলীপ ঘোষের প্রশংসা করে অমিত শাহ বলেন, “দিলীপ ঘোষ যখন রাজ্য বিজেপির দায়িত্বে তখন বাংলায় বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে।”
মহানগর ডেস্ক : দল নয়, নরেন্দ্র মোদীই সব। রবিবার নতুন বছরের সকালে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ সেটাই প্রমাণ করল। এই ইস্তেহার নামেই দলের উস্তেহার হলেও ইস্তেহারের প্রচ্ছদে বড় হরফে লেখা “মোদী কি গ্যারিন্টি”! একটা দেশ পরিচালনা করার জন্য ভোট চাইছে যে দল সেই দলকে ছাপিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। তবে এই প্রয়াস নতুন নয়। “মোদীর সরকার”, “মোদীর গ্যারিন্টি”, বিজেপি নতুন বলছে না, তবে দলের নির্বাচনী ইস্তেহারে সেই “মোদী কি গ্যারিন্টি” লিখে সেই বিষয়টিই স্পষ্ট করল বিজেপি। তাহলে বলা যায় এই লোকসভা ভোটে সরকার গড়ার জন্য বিজেপির নামে নয়, দল লড়ছে মোদীর নামে।
এদিন আবারও নতুন করে প্রমাণ হল, দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ঊর্ধ্বে এখন ব্র্যান্ড মোদীর প্রতিশ্রুতি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কথায়, “এই গ্যারান্টি হল ২৪ ক্যারেট সোনার মতো। ষোলো আনা খাঁটি”।
এদিন ইস্তেহার প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, বিজেপির এই ইস্তেহারের জন্য এখন সাংবাদিক থেকে শুরু সমাজের সব শ্রেণির মানুষ আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করে থাকে। কারণ, বিজেপি ভোটের ইস্তেহারের শুচিতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। ইস্তেহারে ঘোষণা করা সঙ্কল্প বাস্তবে রূপ দিয়েছে। তাই এ শুধু ইস্তেহার নয়, এ হল সঙ্কল্পপত্র।
এই সঙ্কল্পের মূল বিষয় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, যে চার মূল স্তম্ভের উপর এই সঙ্কল্পপত্র তথা তাঁর গ্যারিন্টি দাঁড়িয়ে রয়েছে তা হল-জ্ঞান, গরিব, যুব শক্তি, অন্নদাতা এবং নারীশক্তি। দুর্নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসে ভ্রষ্টাচারীদের ৪ জুনের পর জেলে পুরবে।”
ইস্তেহার প্রকাশ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সঙ্কল্পপত্রে গরিব কল্যাণের বহু যোজনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। স্পষ্ট বলা হয়েছে, ফের ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা আরও পাঁচ বছর চালু রাখা হবে। সেই খাবার হবে পুষ্টিতে ভরা। যাতে শুধু পেট নয়, খেয়ে মনও ভরে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বয়স্কদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হল চিকিৎসার খরচ কোথা থেকে আসবে। এই চিন্তা মধ্যবিত্তের সবচেয়ে বেশি। তাই সঙ্কল্পপত্রে বলা হয়েছে, ৭০ বছর বয়সের বেশি আয়ুর সমস্ত মানুষকে আয়ুষ্মান যোজনার আওতায় আনা হবে। সূর্যঘর প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যে সাড়া পড়ে গেছে সারা দেশে। এই যোজনা আরও প্রসারিত করা হবে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ তৈরি হলে মাশুল আর লাগবে না। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করে রোজগার করতে পারবে। সেই সঙ্গে ইলেকট্রিক ভেহিকেল বিনামূল্যে চার্জিং করতে পারবে।মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে গত দশ বছরে নতুন উদ্যোগপতি তৈরি করা গিয়েছে বলে মোদী জানান। তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করা গিয়েছে। এতদিন মুদ্রা যোজনায় সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা ধার নেওয়া যেত। এবার সেই সীমা বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করা হবে।
বন্দে ভারত ট্রেনের বিস্তার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্দে ভারতের তিনটে মডেল চলবে, বন্দে ভারতের প্রসার আরও বৃদ্ধি পাবে। বন্দে ভারত স্লিপার, বন্দে ভারত চেয়ারকার আর বন্দে ভারত মেট্রো, এই তিনটি মডেলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ইস্তেহারে, সেকথাও মোদী এদিন বলেন। তিনি বলেন, আমদাবাদ-মুম্বই বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ চলছে। আগামী দিনে উত্তর ভারত, দক্ষিণ ভারত এবং পূর্ব ভারতে একটি করে বুলেট ট্রেন প্রকল্প শুরু করা হবে।
তবে এই ইস্তেহারে যে ভাবে নরেন্দ্র মোদীকে তুলে ধরা হয়েছে তাতে সংঘ পরিবার কি সন্তুষ্ট? এই প্রশ্ন ইস্তেহার প্রকাশের পর উঠেছে। লারণ ইস্তেহারে দলের ঊর্ধ্বে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদীকে। এটা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের নীতি নয়। তাহলে একদা সংঘ কর্মী মোদী কী এখন নিজেকে সংঘের ঊর্ধ্বে মনে করেন? এই প্রশ্নও উঠছে সংঘ পরিবারের একাংশের মধ্য। প্রশ্ন একটাই এভাবে দলের ঊর্ধ্বে মোদীকে তুলে ধরার ফলে মোদীর অবর্তমানে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে তো?
মহানগর ডেস্ক : ভোট হবে আর “মহাগুরু” প্রচারে নামবেন না তা কি হয়? তাই আগামী পয়লা বৈশাখ থেকেই মিঠুন চক্রবর্তী উত্তরবঙ্গে বিজেপির হয়ে ভোট প্রচারে নামছেন।
লায় ভোট পর্বের শুরুতেই উত্তরবঙ্গের তিন আসন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে ভোটগ্রহণ আগামী ১৯ এপ্রিল। আর পয়লা বৈশাখ থেকেই ভোট প্রচারে নামছেন মিঠুন চক্রবর্তী। পয়লায় বৈশাখ রবিবার মিঠুনের প্রচার আলিপুরদুয়ারে, দোসরা বৈশাখ সোমবার জলপাইগুড়িতে এবং তেসরা বৈশাখ মঙ্গলবার কোচবিহারে। প্রতি দিনই একটি করে রোড-শো এবং একটি করে সভা করবেন “মহাগুরু”।
আমরা দেখেছি গত ২০২১ সালে নবান্ন দখলের লড়াই জমে ওঠার মধ্যেই অভিনেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ব্রিগেড ময়দানে নরেন্দ্র মোদীর সভামঞ্চে ধুতি-পাঞ্জাবির সঙ্গে কালো টুপি আর কালো চশমায় মিঠুনকে দেখা গিয়েছিল সেদিন। সে দিনই তিনি তাঁর অভিনীত সিনেমার জনপ্রিয় সংলাপ উপস্থাপিত করেছিলেন রাজনৈতিক মঞ্চে। “মহাগুরু” বলেছিলেন, ‘‘আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি একটা কোবরা। আমি জাত গোখরো। এক ছোবলে ছবি।’’
সেই সময় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে রাজ্য বিজেপি হেলিকপ্টারে করে মিঠুনকে রাজ্যের এ মাথা থেকে ও মাথা প্রচারে নিয়ে গিয়েছিল। আর সর্বত্রই সিনেমার ডায়লগ আর রাজনীতির স্লোগান মিলিয়ে নিজেকে “জাত গোখরো” বলে দাবি সেবার করেছিলেন মিঠুন। তিনি সেই সেই সময় সভা মঞ্চে বলেছিলেন, ‘‘আমি জাত গোখরো। এক ছোবলে ছবি। এ বার কিন্তু এটাই হবে। দাদার প্রতি ভরসা রাখবেন। আমার কথায় বিশ্বাস রাখবেন। দাদা কোনও দিন মুখ ফিরিয়ে পালিয়ে যায়নি। আমি সব সময় পাশে থাকব।’’ কোথাও আবার “এমএলএ ফাটাকেষ্ট” ছবির সংলাপ শুনিয়েছিলেন, ‘‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে।’’ গোটা ২০২১ এ রাজ্যে “জাত গোখরো” হিসাবে মিঠুন “ফোঁস” করলেও শাসক তৃণমূলকে “ছবি”তে পরিণত করতে পারেননি মহাগুরু।
আসলে সিনেমার ডায়লগ যতটা রুপোলী পর্দায় মানুষের মনে ঝড় তোলে ভোটের ময়দানে সেটা হয় না। এবার দেখার ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মিঠুন “গোখরো” হয়ে রাজ্যের ৪২টি আসনে তৃণমূলকে “হেলেসাপ”-এ পরিণত করতে পারেন কি না!
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মিঠুনকে বাংলা এবং ত্রিপুরার তারকা প্রচারকের তালিকায় বিজেপি রাখলেও চিন্তা ছিল “মহাগুরু”-র স্বাস্থ্য নিয়ে। এর অন্যতম কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেই কলকাতায় সিনেমার শুটিং ফ্লোরে অসুস্থ হয়ে পড়েন মিঠুন চক্রবর্তী। তারপর কয়েকটা দিন হাসপাতালেও থাকতে হয়। হাসপাতালে থাকাকালীন রাজ্য বিজেপি নেতারা দেখতে তো যানই, তাঁকে ফোন করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এখনও পর্যন্ত বিজেপি সূত্রে যা খবর তাতে রবিবার মিঠুন আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁওতে রোড-শো করবেন। পরে সভা করবেন জটেশ্বরে। পরের দিন সোমবার জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে রোড-শো এবং জলপাইগুড়ি শহরে সভা। এই দফার প্রচারের শেষ দিন মঙ্গলবার “মহাগুরু” কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়িতে রোড-শো করবেন। বিকেলে সভা ঘোকসাডাঙায়। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনী প্রচারে আগামী ২০ এপ্রিল মিঠুনের বালুরঘাটে যাওয়ার কথা এখনও পর্যন্ত নির্ধারিত আছে।
ইন্দিরা গান্ধীর সব থেকে বড়ো বিশ্বাসঘাতকের ছেলে, ২০২৪ এর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী
মহানগর ডেস্কঃ দেশের প্রথম একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে যেই ব্যক্তি হত্যা করেছিলেন সেই হত্যাকারীর ছেলে, ২০২৪ এর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। পঞ্জাবের ফরিদকোট কেন্দ্র থেকে লড়বেন সরবজিৎ সিং।
কে এই সরবজিৎ সিং?
ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সব থেকে বড়ো বিশ্বাসঘাতকতা যিনি করেছিলেন তিনি হলেন এই বিয়ন্ত সিং। বিয়ন্ত সিং-এর ছেলে হচ্ছেন এই সরবজিৎ সিং। ২০২৪ এর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পঞ্জাবের ফরিদকোট কেন্দ্র থেকে লড়বেন তিনি। সর্বজিৎ নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়ছেন। সরবজিৎ এর বয়স ৪৫ বছর, মোহালির বাসিন্দা। জানা যাচ্ছে গ্রাজুয়েশনের জন্য চণ্ডীগড়ের খালসা কলেজে সর্বজিৎ ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি কোর্স শেষ করেননি। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাটিন্ডা থেকে সর্বজিৎ এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১.১৩ লক্ষ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি ২০০৭ সালে আবার বার্নালার ভাদৌর আসন থেকে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে দাড়িয়েছিলেন কিন্তু সেখানেও জয়ের মুখ দেখতে পাননি। এরপর সর্বজিৎ ২০১৪ সালে, ফতেহগড় সাহিব আসন থেকে লড়ার জন্য দাঁড়ান। কিন্তু ভাগ্য সেবারেও সাথ দেয়নি তাঁর, সরবজিৎ সেখানেও হেরে গেছিলেন। তিনি আবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, বহুজন সমাজ পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু তিনি সেখানেও হেরে যান। তবে, সরবজিৎ সিংয়ের মা বিমল কৌর, তিনি ১৯৮৯ সালে রোপার আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পঞ্জাবের ১৩ টি লোকসভা আসনের জন্য ভোট গ্রহণ ১ জুন শুরু হবে। জানা যাচ্ছে, ফরিদকোট লোকসভা আসন থেকে সরবজিৎ নির্দল প্রার্থীর হয়ে লড়বেন। এই আসনে আম আদমি পার্টি তাদের প্রার্থী হিসেবে করমজিৎ আনমোলকে মনোনীত করেছেন। বিজেপি তাদের প্রার্থী হিসেবে গায়ক হংস রাজ হংসকে মনোনীত করেছেন, তবে এই আসনে বর্তমানে প্রতিনিধিত্ব করছেন কংগ্রেস সাংসদ মহম্মদ সাদিক।
সরবজিৎ সিং জানিয়েছেন ‘ফরিদকোটের লোকেরা তাঁকে ২০২৪ এর ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য, লড়ার জন্য বহুবার আবেদন করেছে। তাঁদের সবার কথা রাখতে ভোটের ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, ইন্দিরা গান্ধী যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখনকার সময়ে ইন্দিরা গান্ধীর দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করতেন বিয়ন্ত সিং এবং সতবন্ত সিং। সুযোগের আর বিশ্বাসের অপব্যবহার করে তাঁরাই দেহরক্ষীর বেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রাণ কেড়ে নিয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালের ৩১অক্টোবর আজও কেউ ভোলেননি। এই দিন দেশের প্রথম একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন তাঁরই দেহরক্ষীরা। সেই অপরাধে বিয়ন্তকে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে হত্যা করে দেওয়া হয়। আরেক দেহরক্ষী সতবন্তকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।