মহানগর ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পেরে অভিমান প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে অসন্তুষ্ট করেন না, তাই বরানগর বিধানসভা উপ নির্বাচনে সায়ন্তিকাকে তিনি তৃণমূূলের প্রার্থী করলেন। তৃণমূলের বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বরানগর বিধানসভা আসনটি ফাঁকা হয়। তাপস রায় দলে মর্যাদা না পেয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। অন্যদিকে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে না পেরে অভিমানী সায়ন্তিকা অবশেষে বরানগর বিধানসভা উপ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে দলে মর্যাদা পেলেন, মানভঞ্জন হল সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২০১৯ সালে বাঁকুড়া বিধানসভায় প্রার্থী হয়ে জিততে পারেননি সায়ন্তিকা।
অন্যদিকে ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলির মৃত্যুতে ওই আসরটি খালি হয়। ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী করল রেয়াত হোসেন সরকারকে। ইনি ভগবানগোলা বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের নতুন প্রার্থী। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রেয়াত হোসেন সরকার।
বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনে যিনি প্রার্থী হবেন তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেই ভালো, এই মত ব্যক্ত করেছিলেন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পাওয়া আর এক অভিমানী নেতা শান্তনু সেন। তিনি আশা করেছিলেন, বরানগরে তাঁকে বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করতে পারে দল। তবে সেটা হল না। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পেরে হাবেভাবে অভিমান প্রকাশ করলেও মুখে নিজেকে দলের অনুগত সৈনিক বলেই দাবি করেছিলেন শান্তনু সেন। তবে সায়ন্তিকা প্রার্থী হতে পেরে বলেন, “আমি খুশি প্রার্থী হতে পেরে। দল আমার উপর ভরসা রেখেছে, আমি সেটার মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করব। শান্তনুদা অনেক সিনিয়র,তিনি আমার পাশে থাকবেন।”
বরানগরে সায়ন্তিকার বিপরীতে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন এই মুহূর্তে কলকাতা তথা রাজ্যের অন্যতম বলিয়ে-কইয়ে এবং ডাকাবুকো প্রার্থী সজল ঘোষ। সায়ন্তিকা কি পারবেন তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক যুদ্ধে লড়ে জিততে? প্রশ্নটা আসছে এই কারণেই, শান্তনু সেন বলেছেন, বরানগরে প্রার্থী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলে ভালো হয়। তাই সায়ন্তিকা অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ায় তৃণমূলের কেউ কেউ আবার মর্যাদা হারিয়ে সায়ন্তিকার বিরুদ্ধাচারণ করবে না তো? বরানগরের বিধানসভা উপনির্বাচনে এটাও একটা বড় ফ্যাক্টর।
এদিকে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে জেনে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ বলেন, “সায়ন্তিকা হোক, অ্যাকোয়াটিকা হোক, আমার কিছু এসে যায় না। লড়াইটা রাজনৈতিক।”