মহানগর ডেস্ক: জীবনের শুরুতে চাকরি করতেন রাহুল গান্ধী! সেই চাকরির বেতন থেকেই দিতেন বাড়ির ভাড়া। জানেন, কিভাবে রাহুল রাজনীতিতে এলেন? তিনি নিজেই বললেন জীবনের কিছু অজানা কথা। জানতে দেখুন পুরোটা।
বর্তমানে দেশের বিরোধী দল কংগ্রেসের মুখ রাহুল গান্ধী। লোকসভা বলতে কংগ্রেস জিতলে তিনিই হয়তো প্রধানমন্ত্রী হবেন দেশের। কিন্তু এই রাহুল গান্ধীর জীবনের শুরুটা ছিল অন্যরকম। আর চার পাঁচজনের মতো রাহুল গান্ধীর ছোটবেলাটা খুব একটা সহজ ছিল না। ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর আকস্মিক হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর বাবা রাজীব গান্ধীর হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই হোমস্কুলিং শুরু হয় রাহুল গান্ধীর জন্য। বাড়ির মধ্যেই পড়াশুনা, বাড়ির মধ্যেই বেড়ে ওঠা। স্কুল জীবন শেষ করার পর এক বছর তিনি দিল্লির স্টিফেন্স কলেজে ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করেন। তারপর তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস অ্যান্ড পলিটিক্স নিয়ে। এরপর ফ্লোরিডার রোলিং কলেজে রাহুল পড়াশোনা করেছেন কিছুকাল। পরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যলয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পাশ করেন রাজীব পুত্র।
তারপর ২৪ থেকে ২৫ বছর বয়সে লন্ডনে ‘মনিটর’ নামের এক সংস্থায় কর্মরত ছিলেন রাহুল গান্ধী। সেটিই ছিল তাঁর প্রথম চাকরি। সেই সময়ের নিরিখে রাহুল গান্ধীর মাসিক বেতন ছিল ৩ হাজার পাউন্ড। সেই টাকা থেকেই বাড়ির ভাড়া মিটিয়ে কোনোরকমে দিনযাপন হত তার। কিন্তু কেন রাজনীতিতে এলেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে এক সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেন, ‘আমি এমন একটা পরিবার থেকে এসেছি যা রাজনৈতিক। আমার বাবা ঠাকুমা খাওয়ার টেবিলে বসে রাজনীতি ও ভারত নিয়ে আলোচনা করতেন। আমার বাবার মৃত্যু আমার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। তারপর থেকে আমি পাল্টে যাই।’ তিনি বলছেন, ‘আমাদের পরিবারে আমরা কেউ ভয় পাইনা। ফলে আমার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে খুব একটা প্রশ্ন ছিল না।’
https://www.facebook.com/share/r/An5zx5iFXfp1bA8P/?
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী হলে রাহুলের লক্ষ্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বদল ঘটানো, দেশের ছোট শিল্পগুলিকে আরও বেশি করে চাঙ্গা করে তোলা এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো।