মহানগর ডেস্কঃ মধ্যরাতে হঠাৎ কেঁদে উঠল কুকুর! অর্ধেক হওয়া ঘুম নিয়ে আচমকা উঠে বসলেন! কুকুরের কান্নার কারণ আসন্ন কোন বিপদ! এর সাথে কি যোগ রয়েছে অশরীরী আত্মার? বিষয়টা গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো। অনেকেই ঠিক এভাবেই ভয় পেয়ে যান কুকুরের কান্নার আওয়াজে। কিন্তু ভয়ের পেছনে কি কারণ রয়েছে? কিইবা আছে ব্যাখ্যা!
আমাদের চারপাশে প্রতিদিন কত কিছুই না ঘটে চলেছে। কোনোটার উপস্থিতি বোঝার ক্ষমতা মানুষের থাকে। কোনোটা আবার আমাদের হাতে থাকে না। তবে জানেন কি! ভগবান এই ক্ষমতা দিয়েছেন অবলা প্রাণীদের। সত্যিই কি কোনো বিপদ সংকেত বুঝতে পারে কুকুর। আত্মার অস্তিত্বই বা কিভাবে বুঝতে পারে তারা। দেখে নিন।
আদ্যিকাল থেকে এমন কিছু ধারনা মানুষের মনে গেঁথে আছে যা মানুষ চাইলেও সেসব মুছে ফেলতে পারেনি এখনো। আধুনিকতার ছোঁয়া সর্বত্র থাকলেও বিড়াল কুকুর কাঁদা, কালো বিড়ালের রাস্তা কাটার মতো বিষয় আজো মানুষের মনে দ্বন্দ্বের দাগ কাটে। আর এই ধারনা থেকেই জন্ম ‘কুকুর কাঁদা মানে কারও মৃত্যু আসন্ন’। অনেকে মনে করেন আগত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আবহাওয়ার পরিবর্তন সবার আগে টের পায় পশু,পাখিরাই।
তবে এর পেছনেও রয়েছে জ্যোতিষ। এই জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয় কুকুর অশরীরী আত্মার টের পায়। ওনারাই যখন আশেপাশে ঘুরে বেড়ান তখনই কুকুর কাঁদে।
বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞর মতে বেশিরভাগ কুকুর সঙ্গীহীন থাকতে পছন্দ করে না। তাই তারা এভাবেই মাঝরাতে সঙ্গীদের ডাকার চেষ্টা করে। আর সেটাই মানুষের কান্নার আওয়াজ বলে মনে হয়। আদতে কুকুরের কান্নার শব্দ এমনটা নয়। তারা তাদের সঙ্গীদের একত্রিত করার উদ্দেশ্যে এমন চিৎকার করে। যা আপাতকর্ণে শুনে মনে হয় কুকুরের কান্নার আওয়াজ।
পশুপ্রেমীদের দাবি অন্যরকম। এই প্রবল শীতে বয়স্ক কুকুর আরো দুর্বল হয়ে পড়ে আর তখনই এভাবে তারা সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করে। অথবা তারা যখন একাকী বোধ করে বা দুঃখ বাড়তে থাকে রাতের দিকে তখন তারা চিৎকার করে কষ্ট প্রকাশ করে। বিজ্ঞানের মতে কুকুরের কান্না আসলে কুকুরের ডাক।