মহানগর ডেস্ক: ছোট্ট একরত্তি মশা,মাকড়শা, পোকার ক্ষমতা কত, সে সম্পর্কে অনেকেরই কমবেশি জানা আছে। অনেকের হয়তো মনে থাকতে পারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এশিয়ান টাইগার নামে ছোট্ট এক মশার কামড়ে চোদ্দদিন কোমায় আক্রান্ত হয়েছিল এক তরুণ। এতেই ক্ষান্ত হয়নি সেই মশা। তিরিশটি অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল তাকে। সারা শরীরে পচন ধরে যায় তার। তবে শেষপর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যায় তরুণটি। এটি ব্রিটেনের ঘটনা। সেখানকার কলিন ব্লেক নামে এক ব্যক্তি স্ত্রীকে নিয়ে ফ্রান্সের মার্সেলেতে জাহাজে চেপে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
সেখানে বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ তিনি লক্ষ করেন তাঁর পায়ের পাতা ফুলে গিয়েছে। ঘটনাটির গুরুত্ব বুঝতে পেরে জাহাজের চিকিৎসককে বিষয়টি দেখান। পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান পেরুর উলফ স্পাইডার তাঁকে কামড়েছিল এবং পায়ের পাতায় ডিম পেড়েছিল। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ব্লেক। ওষুধ খেয়ে বিষাক্ত মাকড়শার বিষ থেকে মুক্তি পান তিনি। মালবাহী জাহাজগুলির মাধ্যমে এসে ফ্রান্সে উলফ স্পাইডরেরা আস্তানা গেড়েছে। ক্রামলিনটনের বাসিন্দা ব্লেক যখন স্ত্রীর সঙ্গে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন,তখন তাঁকে মাকড়শা কামড়ায়। যদিও ব্যাপারটা বুঝতে পারেননি তিনি। এই ধরণের মাকড়শা কামড়ানোর পর শরীরে ডিম পেড়ে থাকে। যেমনটা ব্লেকের বেলায় হয়েছিল। পায়ের পাতা ফোলা দেখে তাঁর স্ত্রী ভেবেছিলেন নতুন চটি পরার জন্য পা একটু ফুলে গিয়েছে।
পায়ের পাতায় একটু ঘষার পর সেটি লাল হয়ে যায়। জাহাজের চিকিৎসককে দেখানোর পর তিনি পায়ের ফোলা জায়গাটা কেটে ফেলেন। একটা হালকা দুধের মতো পুঁজ বেরোয়। সঙ্গে চা পাতার মতো থকথকে পদার্থ। যেটা মাকড়শার ডিম বলে জানা যায়। ব্রিটেনে ফেরার পর চিকিৎসা করান ব্লেক। তাঁর ফোলাটা কমাতে অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স করার নিদান দেন চিকিৎসকরা। ফোলাটা কমার পর বিষটা বেরিয়ে যায়। পায়ের পাতায় মাকড়শার হুল ফুটে থাকা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।