গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। মুম্বাইয়ে কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। সেখানে তাঁর অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করা হয়েছে বলে খবর। গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। মুম্বাইয়ে কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। সেখানে তাঁর অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করা হয়েছে বলে খবর। পেরিফেরালের চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। হৃদজনিত কোনও সমস্যার জন্য অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করানো হয়নি তাঁঁর। এদিকে এই বছরের শুরুতেই আরও একবার অসুস্থ হয়েছিলেন মেগাস্টার অনিতাভ। তাই ফের তাঁর অসুস্থতার খবর সামনে আসতেই অনুরাগীদের তাঁকে নিয়ে শুরু হয় উদ্বেগ। সাধারণত হৃদজনিত সমস্যার কারণে এই অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করানো হয়ে থাকে। তবে এ বিষয়ে ডাক্তার সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘পায়ের রক্তবাহগুলিতে কোনও কারণে রক্ত জমাট বাঁধলেও অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করা হতে পারে।’’যদিও অমিতাভের পরিবারের তরফ থেকে তাঁর শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে এখনো বিশেষ কিছু বলতে দেখা যায়নি। অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি অপারেশনের ক্ষেত্রে ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
health
মহানগর ডেস্ক: কথায় আছে, মন ভালো তো দুনিয়া ভালো! কথাটা বেশিরভাগই সত্য। মন যদি ভালো থাকে শরীরও ভালো, মন ও শরীর গভীর সম্পর্ক যুক্ত। আর শরীর ভালো থাকলে আমাদের জীবনযুদ্ধ অনেক টাই সহজ হয়ে যায়। কাজের শেষে ক্লান্তি কম লাগে। অনেক বেশি বাঁচার ইচ্ছা জাগে। তাই মনকে আমাদের আগে আয়ত্তে আনা দরকার। এর জন্য সর্বপ্রথমে আমাদের শরীরের কয়েকটি হরমোন ফ্যাক্টরকে নিয়ন্ত্রনে আনা প্রয়োজন।
মূলত আমাদের দেহের বিভিন্ন রাসায়নিক ক্রিয়া বিক্রিয়ায় হরমোন প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। যা আমাদের শরীর অন্দরের বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। প্রতিটি হরমোনেরই নিজস্ব কিছু চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য আছে। মন - মেজাজ এবং মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতেও হরমোনের ভূমিকা মুখ্য। মূলত চারটি হরমোন আছে, যার প্রভাবে আমরা হাসিখুশি, প্রাণবন্ত থাকি । মন হ্যাপি(খুশি) থাকার জন্য এগুলিকে বলে হ্যাপি হরমোন। আবার বেশ কিছু হরমোনের প্রভাবে আমাদের মানসিক স্ট্রেস বাড়ে, একাকীত্ব অনুভব হয়, মানুষিক উন্মাদনা বৃদ্ধি পায়।আসুন জেনে নিই সেই হরমোন গুলি কি এবং সেগুলিকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। প্রথমেই, বলা দরকার নেগেটিভ হরমোন গুলির কথা যেগুলি আমাদের শরীরে নানারকম মানসিক চাপ তৈরি করে। স্ট্রেস হরমোন, সেক্স হরমোন, কর্টিসল, থাইরয়েড হরমোন। সমীক্ষার দাবি, কর্টিসল, স্ট্রেস হরমোন, নিউরোট্রান্সমিটার থেকে ডোপামিন, অক্সিটোসিন, এবং এন্ডোরফিনের মতো হরমোনের নিঃসরণকে ব্যাহত করে। এর ফলে, মেজাজ খারাপ হয়, উদ্বেগ, উন্মাদনা বাড়ে। এর থেকে বাঁচার উপায় কি? কি করা বাঞ্ছনীয়? যতটা পারবেন মনকে শান্ত রাখুন, আনন্দে থাকুন, ইতিবাচক চিন্তা করুন, মানুষের সাথে ইতিবাচক আলোচনা করুন, প্রিয় জায়গায় ঘুরতে যান, গল্পের বই পড়ুন, একসাথে বলতে গেলে যেটা আপনার মনকে আনন্দ দেয় এবং যেটা ইতিবাচক(পজেটিভ) সেগুলো করতে পারেন । কারণ আপনি যখন আনন্দে থাকেন শরীরে তখন একধরনের ইতিবাচক হরমনের রাসায়নিক ক্রিয়া হয়,আপনার শরীরের জন্য যেটি অত্যন্ত ভালো।
এবার আসি হ্যাপি হরমোনের কথায়। নামেই যার বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পাচ্ছে। এই হরমোন আমাদেরকে হ্যাপি রাখে এবং মানসিক স্ট্রেস কমিয়ে হরমোনের নিয়ন্ত্রণকে বজায় রাখে। ডেপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন,
এন্ডোরফিন এগুলি আমাদের শরীরের জন্য খুবই ইতিবাচক হরমোন।
এই হ্যাপি হরমোনের প্রভাব বৃদ্ধি করবেন কিভাবে –
নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন।যোগব্যায়াম আমাদের শরীরকে শুধু ফিট রাখে তা নয়। প্রচুর পরিমাণ ইতিবাচক হরমোনেরও নিঃসরণ করে।যার প্রভাবে আমাদের শরীর, মন সুস্থ থাকে।
রোজ সকালে ১০-১৫ মিনিট রোদে কাটান। এতে শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। একই সাথে শরীরে এর প্রভাবে সেরোটোনিন এবং এন্ডোরফিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
তাছাড়াও গবেষণায় উঠে এসেছে, হাসলে আয়ু বাড়ে, হার্ট ভালো থাকে, ওজন কমে, হজম শক্তি বাড়ে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট জেএনওয়ান, আগের থেকে কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্ট আরও মারাত্মক? কেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা?
মহানগর ডেস্ক: আবার সে ফিরে আসতে চলেছে।তবে আগের থেকে এবারে সে অনেক বেশি তেজি। সংক্রমণের শক্তি আগের বারের থেকেও আরো অনেকগুণ বেশি। আর নয়া মারণ ভাইরাস কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট জেএন. ওয়ান স্ট্রেন নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের কারাকুলামে একটি নমুনায় মিলেছে নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ। কোভিডের হানা থেকে আরোগ্য লাভের পর পঁচাত্তর বছরের এক বৃদ্ধার ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো মৃদু শরীর খারাপ হয়।
গত আট ডিসেম্বর নমুনা পরীক্ষা করে নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া যায়। এই ভ্যারিয়েন্টের জেরে সংক্রমণ হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওমিক্রম সাবভ্যারিয়েন্ট যা বিএ.২.৮৬ বা পিরোলাকে কোভিড জেএন ওয়ান ভ্যারিয়েন্ট বলে মনে করা হয়েছিল। এ বছরের সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় বিষয়টি চিহ্নিত হয়। ডিসেম্বরের পনেরো তারিখে চিনে এমন নির্দিষ্ট সাব ভ্যারিয়েন্টের সাতটি সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। সিডিসি জানিয়েছে বিএ.২.৮৬ ও জেএন ওয়ান-দুটি একেবারেই আলাদা কারণ যেভাবে এই সাব ভ্যারিয়েন্টের নামকরণ করা হয়েছিল, সেক্ষেত্রে জেএন ওয়ান ও বিএ.২৮৬য়ের স্পাইক প্রোটিনে মাত্র একটি পরিবর্তনের কথা জানা গিয়েছিল।
এই স্পাইক প্রোটিন,যা একটি স্পাইক হিসেবে উল্লিখিত, কারণ এটি মানুষের মধ্যে সংক্রমণের ক্ষমতার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। সিডিসির মতে, ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে নিশানা করে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, সেই ভ্যাকসিন জেএন ওয়ান ও বিএ ২.৮৬কে নির্মূল করতে কার্যকরী হবে। এএনআইয়ের খবর অনুযায়ী দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতেলের সিনিয়র কনসালট্যান্ট উজ্জ্বল প্রকাশ এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন নজরদারি জরুরি হলে সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাঁর কথায় সবাইকে তীক্ষ্ন নজর রাখতে হবে। তবে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এখনও পর্যন্ত জ্বর, নাকে ভেজা ভাব,গলায় ব্যথা, মাথা ধরা ও নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে ছোট খাটো গ্যাস্ট্রো ইনস্টেটিনাল সমস্যা এখনও পর্যন্ত রোগীদের মধ্যে দেখা গিয়েছে।
অধিকাংশ রোগী মৃদু শ্বাসের সমস্যা ভুগলেও চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তা ঠিক হয়ে যাচ্ছে। প্রথম কথা হল কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্টের পরীক্ষা সম্ভব হলে করা দরকার। এরপর রোগীদের মধ্যে কোভিড বা অন্য কোনও ভাইরাল সংক্রমণ আছে কিনা,তা পরীক্ষা করা দরকার। অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের সঙ্গে প্রায় মিল দেখা যায়। হয়তো অন্যান্য কেসের সঙ্গে খুব না হলেও সামান্য গুরুতর উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। কোনও কোনও রোগীর অন্যদের তুলনায় সংক্রমণ দেখা গেলেও কম বেশি ভাইরাল সংক্রমণ দেখা যেতে পারে ড. প্রকাশ জানিয়েছেন।
মহানগর ডেস্ক: টানা চব্বিশ মিনিট সংজ্ঞাহীন থাকার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর হৃদস্পন্দন থেমে গিয়েছিল। কিন্তু না, মৃত ঘোষণার পরেই তাঁর হৃদযন্ত্র ফের আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে ওঠে, যা বিরল বলেই চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয়ে থাকে। ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সে দেশের লেখিকা লরেন ক্যানেডে এই ঘটনা চমকে দিয়েছে তাবড় তাবড় চিকিৎসকদের। মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে আসা ক্যানেডে জানিয়েছেন,ঘুম ভেঙে ওঠার পর তিনি স্মৃতিশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছিলেন।
রেডিটে আস্ক মি এনিথিং সেশনে ক্যানাডে জানিয়েছেন তাঁকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে টানা দুদিন কোমায় ছিলেন তিনি। ক্যানাডে তাঁর স্বামীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিপিআর দ্রুত করার জন্য। বলেছেন তাঁর স্বামী বরাবরই তাঁর কাছে নায়কের মতো। তিনি জানান গত ফেব্রুয়ারিতে বাড়িতে থাকার সময় আচমকাই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তাঁর স্বামী কালক্ষেপ না করে ৯১১-এ ফোন করেন এবং সিপিআর শুরু করে দেন। তাঁর জ্ঞান ফিরতে চব্বিশ মিনিট লেগেছিল। আইসিইউয়ে নদিন থাকার পর তাঁকে টানটান সংজ্ঞা রয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। এমআরআইয়ে মস্তিষ্কের দৃশ্যত কোনও ক্ষতি হয়েছে,এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
রেডিটের ইউজাররা তাঁর অভিজ্ঞতা জানতে উন্মুখ হয়ে পড়েন এবং অজ্ঞান হওয়ার পর ও কী কী পরীক্ষা করা হয়েছিল তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন। ক্যানাডি জানান জ্ঞান ফেরার পর তাঁর ইলেক্ট্রোএনসেফেলোগ্রামের ফল তিরিশ মিনিট এপিলেপ্সি সিজার হয়। তাঁর স্বামী চার মিনিট ধরে সিপিআর করেন। অপারেটর তাঁকে জানান কী করতে হবে। তিনি কখনও এধরণের কাজ করেননি। এ ব্যাপারে তাঁর কোনও সার্টিফিকেট নেই। সৌভাগ্যবশত তাঁরা দমকল অফিসের কাছে থাকেন এবং খবর পেয়ে চার মিনিটের মধ্যে ইএমটি চলে এসেছিল। এক ইউজারের প্রশ্নের জবাবে ক্যানাডি জানান চিকিৎসকরা তাঁকে জানিয়েছেন কোভিডের কারণে সৃষ্ট জটিলতার ফলে তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল।
আইসিইউয়ে ভর্তির সময় কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী ক্যানাডে যে অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন তাঁকে ডাক্তারির পরিভাষায় ল্যাজারাস এফেক্ট বা অটোরিসাসসিটেশন বলা হয়। এই বিরল অবস্থায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। তারপরই হঠাৎই জীবনের লক্ষণ দেখা যায়। যা প্রকৃত মৃত্যু সত্ত্বেও রোগীরা বেঁচে থাকার লক্ষণ দেখা যায়।
মহানগর ডেস্ক: নামী রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে মাঝেমাঝেই খারাপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে অনেককে। কখনও মরা ইঁদুর,আবার কখনও আরশোলা পাওয়া গিয়েছে সার্ভ করা খাবারের ডিসে। কোথায়ও তারিয়ে তারিয়ে খাবেন,তা নয়, উল্টে বিরক্ত হয়ে ডিস সরিয়ে রাখতে হচ্ছে তাঁদের। এমন দূষিত ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। এর আগে হায়দ্রাবাদে বিরিয়ানি খেতে গিয়ে গা গুলনো অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হয়েছে ক্রেতাকে। এমনকী পঞ্জাবের জলন্ধরে নিরামিষ থালিতে মিলেছে মরা ইঁদুর। তা নিয়ে ধুন্ধুমারও হয়। এবার বেঙ্গালুরুতে জমিনদার নামে এক নামী রেস্তোরাঁয় চিকেনের ডিস অর্ডার দিয়ে রীতিমতো বিশ্রি অভিজ্ঞতার শিকার হলেন এক ক্রেতা।
টেবিলে চিকেন ডিস পরিবেশন করার পর ক্রেতা দেখলেন চিকেনের ডিসে মরা একটা আরশোলা পড়ে রয়েছে। গা ঘিনঘিন করার ঘটনার পরই ক্রেতা মোবাইলে ছবি তুলে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। প্রশ্ন তোলেন নামী রেস্তোরাঁর খাবারের মান নিয়ে। সেইসঙ্গে সবাইকে সতর্কও করে দেন। রেডিটে তাদের খাবারের ছবি তুলে পোস্ট করেন। ছবিতে দেখা যায় আরশোলাটি রাইসের সঙ্গে মিশে লেপ্টে রয়েছে। কলাপাতার খাবার পরিবেশন করার পর যখন খিদে চনমন করছিল,ঠিক তখনই মরা আরশোলা চিকেন ডিসে দেখে ক্রেতার খিদে উধাও। তবে এধরণের ঘটনা নতুন নয়। নামী রেস্তোরাঁ বা খাবার ডেলিভারি সংস্থার খাবারে মরা আরশোলা, ইঁদুর থাকার ঘটনা নিয়ে এর আগেও হইচই হয়েছে। বিরিয়ানিতে মরা টিকটিকি মিলেছে হায়দ্রাবাদের একটি নামী রেস্তোরাঁয়। গত নভেম্বর মাসে হায়দ্রাবাদের একটি রেস্তোরাঁয় একটি আরশোলা বিরিয়ানির সঙ্গে রান্না করা অবস্থায় সার্ভ করা হয়েছিল।
মহানগর ডেস্ক: মেয়েদের মাসিক চলাকালীন খিঁচুনির মতো শারীরিক সমস্যা ও রিউমাটোইড আর্থারাইটিস নিরাময়ে ব্যবহৃত মেফটাল পেনকিলারের ব্যবহারে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও রোগিনীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিল দ্য ইন্ডিয়ান ফার্মাকোপোয়েসিয়া কমিশন। মেফেনামিক অ্যাসিড পেনকিলার রিউমাটোইড আর্থারাইটিস, অস্টেওআর্থারাইটিস,ডাইসমেনোরোয়া, প্রদাহ, জ্বর ও দাঁতের যন্ত্রণায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সতর্কবার্তায় কমিশন জানিয়েছে প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা গিয়েছে ওষুধ প্রয়োগে এওসিনোফিলিয়া ও সিস্টেমেটিক সিম্পটমস সিনড্রোমের প্রতিক্রিয়া মিলেছে।
চিকিৎসক, রোগিনী ও গ্রাহকদের খুব কাছ থেকে ওষুধের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। রোগী বা রোগিনীরা যদি এ ধরণের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হন,তাহলে বিষয়টি ভালোভাবে নজরদারি করতে হবে। নভেম্বরের তিরিশ তারিখে জারি করা নোটিসে এই সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে। এ ধরণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া যখন দেখা দেবে,তখন বিষয়টি ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন সেন্টার অব দি পিভিপিআইকে রিপোর্ট করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। www.ipc.gov.in ওয়েবসাইট থেকে ফর্মে বিষয়টি জানিয়ে পোস্ট করা যেতে পারে অথবা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের অ্যাপ ADR PvPI –এ লগ করে জানানো যেতে পারে। হেলপলাইন নম্বর ১৮০০-১৮০-৩০২৪-য়ের সাহায্য মিলতে পারে।
২০৫০ সালের মধ্যে এই রোগে বিশ্বে ছিয়াত্তর মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হতে পারে, কোন রোগের কথা বলা হচ্ছে?
মহানগর ডেস্ক: নিঃশব্দ শব্দ ঘাতক? উচ্চ রক্তচাপের ভয়ঙ্কর প্রভাব নিয়ে এই প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা জানাল সারা বিশ্বজুড়ে পাঁচজনের মধ্যে চারজন উচ্চ রক্তচাপের যথেষ্ট চিকিৎসা পান না বা করান না । রিপোর্টে বলা হয়েছে যদি বিশ্বের দেশগুলি এই রোগ প্রতিরোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতো, তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে ছিয়াত্তর মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু এড়ানো যেতে পারতো।
ভারত সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানিয়েছে যদি ৩০ থেকে ৭৮ বছর গ্রুপের মানুষদের অর্ধেক সংখ্যকও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়, তাহলে ২০৪০ সালের মধ্যে চল্লিশ মিলিয়ন ভারতবাসীর মৃত্যু আটকানো সম্ভব হবে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার আটাত্তরতম অধিবেশনে এই রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টের শিরোনাম- গ্লোবাল রিপোর্ট অন হাইপারটেনশন-দি রেস এগেইনস্ট এ সাইলেন্ট কিলার। রিপোর্টে বলা হয়েছে একই গ্রুপের ১৮৮.৩ মিলিয়ন মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তার মধ্যে শুধু ৩৭ শতাংশ ভারতীয় সময়মতো রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে।
তাঁদের মধ্যে ৩০ শতাংশ চিকিৎসা করাতে পেরেছেন। পঞ্চাশ শতাংশের নিয়ন্ত্রণের হার নিশ্চিত করতে আরও রক্তচাপে ভোগা ৬৭ শতাংশ মানুষের কার্যকরীভাবে চিকিৎসা করা জরুরি। হুয়ের রিপোর্টটি ১৪০/৯০ বা তারও বেশি কিংবা যাঁরা ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিওর, কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং আরও অসংখ্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে বলে চিকিৎসকরা বলে থাকেন। এ থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েট, নিয়মিত শারীরচর্চা, শারীরিক ক্লান্তি মোকাবিলা ও নিয়মিত রক্তচাপে নজরদারি উচ্চ রক্তচাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম উপায় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
দিল্লির অ্যাপেলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে টাকার বদলে কিডনি বিক্রি চক্র চালানোর অভিযোগ, কী বলছে অ্যাপেলো
মহানগর ডেস্ক: টাকার বদলে কিডনি। দিল্লির অ্যাপেলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে কিডনি বিক্র্রি নিয়ে প্রচার মাধ্যমের রিপোর্টের জেরে ডিরেক্টর অব দ্য ন্যাশনাল অর্গান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চিঠি লিখল ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতাল ও ড. সন্দীপ গুলেরিয়ার যোগসাজশে বেআইনি কিডনি বিক্রি চক্র চলছে। ওই চক্রের শিকার হচ্ছেন মায়ানমারের অশিক্ষিত নাগরিকরা। চক্রের ফাঁদে পড়ে টাকার জন্য তাদের টোপ দিয়ে কিডনি বিক্রি করতে প্রলোভিত করা হচ্ছে।
রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে এই ধরণের কাজ স্বাস্থ্য পরিষেবাকে গুরুতর ঝুঁকির মুখে ফেলছে। সেইসঙ্গে অসুস্থ মানুষদের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে ১৯৯৪ সালের মানব অঙ্গ ও টিস্যু আইন অনুযায়ী বিষয়টি খতিয়ে দেখার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ হল দিল্লির এনসিটি। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে এ ব্যাপারে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করা হচ্ছে। এবং আইন অনুযায়ী উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট এক সপ্তাহের মধ্যে জানানোর কথাও বলা হয়েছে চিঠিতে। যদিও টাকার বদলে কিডনি বিক্রি নিয়ে ব্রিটেনের সংবাদপত্রের রিপোর্ট মানতে চায়নি ইন্দ্রপ্রস্থ মেডিকেল কর্পোরেশন লিমিটেড। মঙ্গলবার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রিপোর্টটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে।
দেশের ধনী রোগীদের জন্য দরিদ্র অশিক্ষিত মায়ানমারের নাগরিকদের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে টাকার বদলে বেআইনিভাবে কিডনি কেনা নিয়ে রিপোর্টের কোনও সারবত্তা নেই। আইএমসিএল হল দেশের বৃহত্তম হাসপাতাল গোষ্ঠীর অঙ্গ। তেসরা ডিসেম্বর প্রকাশিত রিপোর্টে মায়ানমারের গ্রামগুলি থেকে টাকার জন্য বেপরোয়া তরুণদের মোটা টাকার বিনিময়ে টোপ দেওয়া নিয়ে জানানো হয়েছে। রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে ধনী মায়ানমার নাগরিকদের জন্য কিডনি বিক্রি করতে দিল্লি উড়ে আসছে অশিক্ষিত, দরিদ্র সেদেশের মানুষ। যদিও এমন অভিযোগ কোনওভাবেই মানেনি ইন্দ্রপ্রস্থ মেডিকেল কর্পোরেশন লিমিটেড।
মোটা না হওয়ার জন্য কৃত্রিম মিষ্টি, ডেকে আনতে পারে ক্যানসারের মতো মারণ অসুখ
মহানগর ডেস্ক: চিনির বদলে কৃত্রিম মিষ্টি কি চায়ে বা অন্যান্য খাবারে দিয়ে খান? শুধু চা কেন, চিনির হাত থেকে বাঁচতে সব কিছুতেই কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করার ঝোঁক থাকলে তাহলে সাবধান! চিনির বিকল্প কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করলে বাড়তি মোটা ভাব কমবে বলে যে ধারণা চালু রয়েছে,সেই ধারণার বশবর্তী হয়ে টুথপেস্ট,ক্যান্ডি,গামেও আমেরিকায় সুইটনার ব্যবহার করা হয়। ফলে দাঁতের ক্ষয় অনিবার্য।
তবে কৃত্রিম মিষ্টি নিয়ে এবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা। বিশ্বে সব থেকে পরিচিত সাধারণ কৃত্রিম সুইটনার ক্যানসারের মতো মারণ অসুখের সম্ভাব্য কারণ বলে চিহ্নিত করেছে তারা। আগামী মাসেই হু কৃত্রিম মিষ্টি বা আর্টিফিসিয়াল সুইটনার নিয়ে সতর্কতা ঘোষণা করতে চলেছে। এই ঘোষণায় খাদ্য শিল্প ও নিয়ন্ত্রকদের ভ্রু কুঁচকে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর্টিফিসিয়াল সুইটনার অ্যাসপারটেম (Aspartame) কোকাকোলা ডায়েট সোডা থেকে চিউয়িং গাম, কিছু পানীয়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আগামী মাসে এই প্রথম সেগুলিকে মানুষের দেহে ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে বলে ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ ফর ক্যানসার তালিকা ভুক্ত করতে চলেছে।
হোয়াইট লাং সিনড্রোম, মারণ ভাইরাস কোভিডের পর বাড়ছে নয়া বিপজ্জনক ভাইরাসের আতঙ্ক
মহানগর ডেস্ক: মারণ ভাইরাস কোভিডের পর এবার নয়া ভাইরাসের সম্ভাব্য হানা ফের ঘুম কেড়ে নিতে চলেছে বিশ্বের। এ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে অনলাইনে। চার বছর আগে চিনের উহানে প্রথম দেখা গিয়েছিল কোভিড ভাইরাস। তারপর সারা বিশ্বকে তার ফল ভুগতে হয়েছে। প্রাণ গিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের। স্তব্ধ হয়েছিল স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই ভয়ঙ্কর বিভীষিকা কাটিয়ে যখন গোটা বিশ্বে স্বস্তি ফিরেছে। বিধিনিষেধ কেটে গিয়েছে যখন আগের ছন্দে ফিরে এসেছে পৃথিবী,ঠিক তখনই ফের মহা-আতঙ্কের খবর নিয়ে এল এই হোয়াইট লাং সিনড্রোম। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি অভিনব ব্যাকটেরিয়াস নিউমোনিয়া স্ট্রেনের ফলে সৃষ্ট হোয়াইট লাং সিনড্রোম সারা বিশ্বের বহু দেশে আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে।
এটি শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত অসুস্থতা, যা তিন থেকে আট বছরের শিশুদের ওপর সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এর প্রকৃত কারণ কি,তা খুঁজে বের করতে যখন অনুসন্ধান শুরু হয়েছে,তখন বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ এটি নতুন চিহ্নিত মাইকোপ্লাসমা নিউমোনিয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। মাইকো নিউমোনিয়ে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের সাধারণ কারণ বলেই ধরা হয়ে থাকে। আক্রান্ত শিশুদের বুক এক্স রে করলে সাদা রঙের পোচ চোখে পড়ছে।
এই সংক্রমণ বিভিন্ন শ্বাস-সংক্রান্ত সমস্যার সঙ্গে এর যোগ রয়েছে। যেমন একিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিনড্রোন. পালমোনারি মাইক্রোলিথিয়াসিস ও সিলিকা সম্পর্কিত পরিস্থিতি। এই হোয়াইট লাং সিনড্রোমের উপসর্গ হিসেবে বিভিন্ন কারণের ওপর নির্ভরশীল। যেমন শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে সমস্যা,কফ কাশি,বুকে ব্যথা, জ্বর এবং অবসন্নতা। এগুলি দেখেই এই অসুখের ইঙ্গিত মিলছে বলে জানা গিয়েছে।