Home Health কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট জেএনওয়ান, আগের থেকে কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্ট আরও মারাত্মক? কেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা?

কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট জেএনওয়ান, আগের থেকে কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্ট আরও মারাত্মক? কেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা?

by Mahanagar Desk
8 views

মহানগর ডেস্ক: আবার সে ফিরে আসতে চলেছে।তবে আগের থেকে এবারে সে অনেক বেশি তেজি। সংক্রমণের শক্তি আগের বারের থেকেও আরো অনেকগুণ বেশি। আর নয়া মারণ ভাইরাস কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট জেএন. ওয়ান স্ট্রেন নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের কারাকুলামে একটি নমুনায় মিলেছে নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ। কোভিডের হানা থেকে আরোগ্য লাভের পর পঁচাত্তর বছরের এক বৃদ্ধার ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো মৃদু শরীর খারাপ হয়।

গত আট ডিসেম্বর নমুনা পরীক্ষা করে নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া যায়। এই ভ্যারিয়েন্টের জেরে সংক্রমণ হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওমিক্রম সাবভ্যারিয়েন্ট যা বিএ.২.৮৬ বা পিরোলাকে কোভিড জেএন ওয়ান ভ্যারিয়েন্ট বলে মনে করা হয়েছিল। এ বছরের সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় বিষয়টি চিহ্নিত হয়। ডিসেম্বরের পনেরো তারিখে চিনে এমন নির্দিষ্ট সাব ভ্যারিয়েন্টের সাতটি সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। সিডিসি জানিয়েছে বিএ.২.৮৬ ও জেএন ওয়ান-দুটি একেবারেই আলাদা কারণ যেভাবে এই সাব ভ্যারিয়েন্টের নামকরণ করা হয়েছিল, সেক্ষেত্রে জেএন ওয়ান ও বিএ.২৮৬য়ের স্পাইক প্রোটিনে মাত্র একটি পরিবর্তনের কথা জানা গিয়েছিল।

এই স্পাইক প্রোটিন,যা একটি স্পাইক হিসেবে উল্লিখিত, কারণ এটি মানুষের মধ্যে সংক্রমণের ক্ষমতার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। সিডিসির মতে, ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে নিশানা করে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, সেই ভ্যাকসিন জেএন ওয়ান ও বিএ ২.৮৬কে নির্মূল করতে কার্যকরী হবে। এএনআইয়ের খবর অনুযায়ী দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতেলের সিনিয়র কনসালট্যান্ট উজ্জ্বল প্রকাশ এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন নজরদারি জরুরি হলে সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাঁর কথায় সবাইকে তীক্ষ্ন নজর রাখতে হবে। তবে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এখনও পর্যন্ত জ্বর, নাকে ভেজা ভাব,গলায় ব্যথা, মাথা ধরা ও নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে ছোট খাটো গ্যাস্ট্রো ইনস্টেটিনাল সমস্যা এখনও পর্যন্ত রোগীদের মধ্যে দেখা গিয়েছে।

অধিকাংশ রোগী মৃদু শ্বাসের সমস্যা ভুগলেও চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তা ঠিক হয়ে যাচ্ছে। প্রথম কথা হল কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্টের পরীক্ষা সম্ভব হলে করা দরকার। এরপর রোগীদের মধ্যে  কোভিড বা অন্য কোনও ভাইরাল সংক্রমণ আছে কিনা,তা পরীক্ষা করা দরকার। অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের সঙ্গে প্রায় মিল দেখা যায়। হয়তো অন্যান্য কেসের সঙ্গে খুব না হলেও সামান্য গুরুতর উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। কোনও কোনও রোগীর অন্যদের তুলনায় সংক্রমণ দেখা গেলেও কম বেশি ভাইরাল সংক্রমণ দেখা যেতে পারে ড. প্রকাশ জানিয়েছেন।

You may also like

Mahanagar bengali news

Copyright (C) Mahanagar24X7 2024 All Rights Reserved