মহানগর ডেস্ক: কথায় আছে, মন ভালো তো দুনিয়া ভালো! কথাটা বেশিরভাগই সত্য। মন যদি ভালো থাকে শরীরও ভালো, মন ও শরীর গভীর সম্পর্ক যুক্ত। আর শরীর ভালো থাকলে আমাদের জীবনযুদ্ধ অনেক টাই সহজ হয়ে যায়। কাজের শেষে ক্লান্তি কম লাগে। অনেক বেশি বাঁচার ইচ্ছা জাগে। তাই মনকে আমাদের আগে আয়ত্তে আনা দরকার। এর জন্য সর্বপ্রথমে আমাদের শরীরের কয়েকটি হরমোন ফ্যাক্টরকে নিয়ন্ত্রনে আনা প্রয়োজন।
মূলত আমাদের দেহের বিভিন্ন রাসায়নিক ক্রিয়া বিক্রিয়ায় হরমোন প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। যা আমাদের শরীর অন্দরের বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। প্রতিটি হরমোনেরই নিজস্ব কিছু চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য আছে। মন - মেজাজ এবং মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতেও হরমোনের ভূমিকা মুখ্য। মূলত চারটি হরমোন আছে, যার প্রভাবে আমরা হাসিখুশি, প্রাণবন্ত থাকি । মন হ্যাপি(খুশি) থাকার জন্য এগুলিকে বলে হ্যাপি হরমোন। আবার বেশ কিছু হরমোনের প্রভাবে আমাদের মানসিক স্ট্রেস বাড়ে, একাকীত্ব অনুভব হয়, মানুষিক উন্মাদনা বৃদ্ধি পায়।আসুন জেনে নিই সেই হরমোন গুলি কি এবং সেগুলিকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। প্রথমেই, বলা দরকার নেগেটিভ হরমোন গুলির কথা যেগুলি আমাদের শরীরে নানারকম মানসিক চাপ তৈরি করে। স্ট্রেস হরমোন, সেক্স হরমোন, কর্টিসল, থাইরয়েড হরমোন। সমীক্ষার দাবি, কর্টিসল, স্ট্রেস হরমোন, নিউরোট্রান্সমিটার থেকে ডোপামিন, অক্সিটোসিন, এবং এন্ডোরফিনের মতো হরমোনের নিঃসরণকে ব্যাহত করে। এর ফলে, মেজাজ খারাপ হয়, উদ্বেগ, উন্মাদনা বাড়ে। এর থেকে বাঁচার উপায় কি? কি করা বাঞ্ছনীয়? যতটা পারবেন মনকে শান্ত রাখুন, আনন্দে থাকুন, ইতিবাচক চিন্তা করুন, মানুষের সাথে ইতিবাচক আলোচনা করুন, প্রিয় জায়গায় ঘুরতে যান, গল্পের বই পড়ুন, একসাথে বলতে গেলে যেটা আপনার মনকে আনন্দ দেয় এবং যেটা ইতিবাচক(পজেটিভ) সেগুলো করতে পারেন । কারণ আপনি যখন আনন্দে থাকেন শরীরে তখন একধরনের ইতিবাচক হরমনের রাসায়নিক ক্রিয়া হয়,আপনার শরীরের জন্য যেটি অত্যন্ত ভালো।
এবার আসি হ্যাপি হরমোনের কথায়। নামেই যার বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পাচ্ছে। এই হরমোন আমাদেরকে হ্যাপি রাখে এবং মানসিক স্ট্রেস কমিয়ে হরমোনের নিয়ন্ত্রণকে বজায় রাখে। ডেপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন,
এন্ডোরফিন এগুলি আমাদের শরীরের জন্য খুবই ইতিবাচক হরমোন।
এই হ্যাপি হরমোনের প্রভাব বৃদ্ধি করবেন কিভাবে –
নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন।যোগব্যায়াম আমাদের শরীরকে শুধু ফিট রাখে তা নয়। প্রচুর পরিমাণ ইতিবাচক হরমোনেরও নিঃসরণ করে।যার প্রভাবে আমাদের শরীর, মন সুস্থ থাকে।
রোজ সকালে ১০-১৫ মিনিট রোদে কাটান। এতে শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। একই সাথে শরীরে এর প্রভাবে সেরোটোনিন এবং এন্ডোরফিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
তাছাড়াও গবেষণায় উঠে এসেছে, হাসলে আয়ু বাড়ে, হার্ট ভালো থাকে, ওজন কমে, হজম শক্তি বাড়ে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।