মহানগর ডেস্ক: টানা চব্বিশ মিনিট সংজ্ঞাহীন থাকার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর হৃদস্পন্দন থেমে গিয়েছিল। কিন্তু না, মৃত ঘোষণার পরেই তাঁর হৃদযন্ত্র ফের আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে ওঠে, যা বিরল বলেই চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয়ে থাকে। ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সে দেশের লেখিকা লরেন ক্যানেডে এই ঘটনা চমকে দিয়েছে তাবড় তাবড় চিকিৎসকদের। মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে আসা ক্যানেডে জানিয়েছেন,ঘুম ভেঙে ওঠার পর তিনি স্মৃতিশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছিলেন।
রেডিটে আস্ক মি এনিথিং সেশনে ক্যানাডে জানিয়েছেন তাঁকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে টানা দুদিন কোমায় ছিলেন তিনি। ক্যানাডে তাঁর স্বামীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিপিআর দ্রুত করার জন্য। বলেছেন তাঁর স্বামী বরাবরই তাঁর কাছে নায়কের মতো। তিনি জানান গত ফেব্রুয়ারিতে বাড়িতে থাকার সময় আচমকাই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তাঁর স্বামী কালক্ষেপ না করে ৯১১-এ ফোন করেন এবং সিপিআর শুরু করে দেন। তাঁর জ্ঞান ফিরতে চব্বিশ মিনিট লেগেছিল। আইসিইউয়ে নদিন থাকার পর তাঁকে টানটান সংজ্ঞা রয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। এমআরআইয়ে মস্তিষ্কের দৃশ্যত কোনও ক্ষতি হয়েছে,এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
রেডিটের ইউজাররা তাঁর অভিজ্ঞতা জানতে উন্মুখ হয়ে পড়েন এবং অজ্ঞান হওয়ার পর ও কী কী পরীক্ষা করা হয়েছিল তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন। ক্যানাডি জানান জ্ঞান ফেরার পর তাঁর ইলেক্ট্রোএনসেফেলোগ্রামের ফল তিরিশ মিনিট এপিলেপ্সি সিজার হয়। তাঁর স্বামী চার মিনিট ধরে সিপিআর করেন। অপারেটর তাঁকে জানান কী করতে হবে। তিনি কখনও এধরণের কাজ করেননি। এ ব্যাপারে তাঁর কোনও সার্টিফিকেট নেই। সৌভাগ্যবশত তাঁরা দমকল অফিসের কাছে থাকেন এবং খবর পেয়ে চার মিনিটের মধ্যে ইএমটি চলে এসেছিল। এক ইউজারের প্রশ্নের জবাবে ক্যানাডি জানান চিকিৎসকরা তাঁকে জানিয়েছেন কোভিডের কারণে সৃষ্ট জটিলতার ফলে তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল।
আইসিইউয়ে ভর্তির সময় কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী ক্যানাডে যে অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন তাঁকে ডাক্তারির পরিভাষায় ল্যাজারাস এফেক্ট বা অটোরিসাসসিটেশন বলা হয়। এই বিরল অবস্থায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। তারপরই হঠাৎই জীবনের লক্ষণ দেখা যায়। যা প্রকৃত মৃত্যু সত্ত্বেও রোগীরা বেঁচে থাকার লক্ষণ দেখা যায়।