মহানগর ডেস্ক: টাকার বদলে কিডনি। দিল্লির অ্যাপেলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে কিডনি বিক্র্রি নিয়ে প্রচার মাধ্যমের রিপোর্টের জেরে ডিরেক্টর অব দ্য ন্যাশনাল অর্গান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চিঠি লিখল ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতাল ও ড. সন্দীপ গুলেরিয়ার যোগসাজশে বেআইনি কিডনি বিক্রি চক্র চলছে। ওই চক্রের শিকার হচ্ছেন মায়ানমারের অশিক্ষিত নাগরিকরা। চক্রের ফাঁদে পড়ে টাকার জন্য তাদের টোপ দিয়ে কিডনি বিক্রি করতে প্রলোভিত করা হচ্ছে।
রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে এই ধরণের কাজ স্বাস্থ্য পরিষেবাকে গুরুতর ঝুঁকির মুখে ফেলছে। সেইসঙ্গে অসুস্থ মানুষদের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে ১৯৯৪ সালের মানব অঙ্গ ও টিস্যু আইন অনুযায়ী বিষয়টি খতিয়ে দেখার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ হল দিল্লির এনসিটি। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে এ ব্যাপারে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করা হচ্ছে। এবং আইন অনুযায়ী উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট এক সপ্তাহের মধ্যে জানানোর কথাও বলা হয়েছে চিঠিতে। যদিও টাকার বদলে কিডনি বিক্রি নিয়ে ব্রিটেনের সংবাদপত্রের রিপোর্ট মানতে চায়নি ইন্দ্রপ্রস্থ মেডিকেল কর্পোরেশন লিমিটেড। মঙ্গলবার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রিপোর্টটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে।
দেশের ধনী রোগীদের জন্য দরিদ্র অশিক্ষিত মায়ানমারের নাগরিকদের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে টাকার বদলে বেআইনিভাবে কিডনি কেনা নিয়ে রিপোর্টের কোনও সারবত্তা নেই। আইএমসিএল হল দেশের বৃহত্তম হাসপাতাল গোষ্ঠীর অঙ্গ। তেসরা ডিসেম্বর প্রকাশিত রিপোর্টে মায়ানমারের গ্রামগুলি থেকে টাকার জন্য বেপরোয়া তরুণদের মোটা টাকার বিনিময়ে টোপ দেওয়া নিয়ে জানানো হয়েছে। রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে ধনী মায়ানমার নাগরিকদের জন্য কিডনি বিক্রি করতে দিল্লি উড়ে আসছে অশিক্ষিত, দরিদ্র সেদেশের মানুষ। যদিও এমন অভিযোগ কোনওভাবেই মানেনি ইন্দ্রপ্রস্থ মেডিকেল কর্পোরেশন লিমিটেড।