মহানগর ডেস্ক : রায়বরেলীতে মনোনয়ন জমা দিলেন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার মা সনিয়া গান্ধী, বোন প্রিয়ঙ্কা এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গেকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার দুপুরে রায়বরেলীর জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে এই কেন্দ্রের লোকসভা প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর মনোনয়ন উপলক্ষে রায়বরেলীতে হাজির ছিলেন প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরাও।
কংগ্রেসের তরফে শুক্রবার সকালেই ঘোষণা করা হয়, অমেঠীর প্রাক্তন সাংসদ রাহুল এ বার লড়বেন সংলগ্ন লোকসভা আসন রায়বরেলী থেকে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে নিশানা করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, রাহুল অমেঠীতে লড়লে ২০১৯ সালের মতোই স্মৃতি ইরানির কাছে পরাজয় অনিবার্য ছিল। সেটা বুঝতে পেরেই উত্তরপ্রদেশে গান্ধী পরিবারের এক মাত্র ‘অবশিষ্ট দুর্গ’ রায়বরেলীতে ‘আশ্রয়’ নিয়েছেন তিনি। বর্ধমানে নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাহুল গান্ধীকে নাম না করে ‘শাহকাদা’ বলে বলেন, “হারের ভয়ে রাহুল গান্ধী রায়বরেলীতে গিয়েছেন।”
রায়বরেলী থেকে প্রার্থী হিসাবে রাহুলের নাম ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বর্ধমানের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে কটাক্ষ করেন। মোদী দাবি করেন, তিনি আগেই বলেছিলেন হারের ভয়ে নতুন আসন খুঁজছেন রাহুল। পাশাপাশি, বিজেপির তরফে রায়বরেলীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে গান্ধীদের ‘পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি’কেও নিশানা করা হয়েছে সোমবার।
বিজেপির কটাক্ষের জবাবে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ শুক্রবার বলেছেন, ‘‘রায়বরেলীতে রাহুলের প্রার্থী হওয়া উত্তারধিকার নয়, দায়িত্ব এবং কর্তব্যের প্রশ্ন।’’ সেই সঙ্গে বিজেপির উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘রাহুল উত্তরপ্রদেশ থেকে তিন বার এবং কেরল থেকে এক বার সাংসদ হয়েছেন। মোদীজি কেন বিন্ধ্যের দক্ষিণ থেকে ভোটে লড়ার সাহস দেখাতে পারছেন না।’’