জ্ঞানবাপীর তহখানায় আরতি ও পূজাপাঠ চলবে বলে নির্দেশ দিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া বা জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি’-র তরফে এ বিষয়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে বলে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট জানিয়েছে।
জ্ঞানবাপী মসজিদের দক্ষিণ অংশের তহখানা-য় আরতি এবং পুজোয় আপত্তি জানিয়ে মসজিদ কমিটির তরফে হাই কোর্টকে বলা হয়েছিল, ১৯৩৭ সালে জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত বিবাদের রায় মুসলিমদের পক্ষেই গিয়েছিল, তাই ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে দিয়ে নতুন করে সমীক্ষা করানো এবং তার উপর ভিত্তি করে আরতি-পূজাপাঠের নির্দেশ দেওয়া যায় না।
২০২২ সালে বারাণসী আদালতের নির্দেশে করা অ্যাডভোকেট কমিশনার-এর রিপোর্টকেও বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মুসলিম পক্ষ দাবি করেছিল।
মসজিদ কমিটির পক্ষে আবেদনে আরও বলা হয়েছিল যে, বারাণসী আদালতের নির্দেশ ১৯৯১-এর ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা আইন বা প্লেসেস অব ওরশিপ (স্পেশাল প্রভিশন) অ্যাক্ট-এর পরিপন্থী।
তবে এই আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি শুক্রবার সকাল থেকে জ্ঞানবাপীর তহখানায় আরতি ও পূজাপাঠের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ শুরু করে মুসলিমপক্ষ। মসজিদ কমিটির তরফে শুক্রবার এলাকার সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীদের দোকান এবং অন্যান্য ব্যবসাক্ষেত্র বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। ওই এলাকায় অশান্তি এড়াতে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
তবে এরই আদালতের নির্দেশ মেনে প্রশাসনিক আধিকারিকদের পর্যবেক্ষণে তহখানা-য় আরতি এবং পুজো করা হয়। গুরুত্ব দেওয়া হয়নি মসজিদ কমিটির প্রতিবাদকে।
বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের সিঙ্গল বেঞ্চ অ্যাডভোকেট জেনারেলকে জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রাঙ্গণের ভিতরে এবং বাইরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৬ ফেব্রুয়ারি।