summer
মহানগর ডেস্ক : ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। মোট সাত দফায় হবে ভোট গ্রহণ। শেষ দফার ভোট গ্রহণ হবে ১ জুন। এপ্রিল-মে-জুন মাস হল গরমের মাস। ইতিমধ্যেই পুড়তে শুরু করেছে গোটা বাংলা। সেই সঙ্গে পারদ চড়ছে রাজধানী সহ বাকি রাজ্য়েরও। এমতাবস্থায় ভোট। আর ভোট দেওয়া মানেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণের অপেক্ষা। চাঁদিফাঁটা রোদ মাথায় ভোট দিতে এসে ভোটাররা অসুস্থ হয়ে পড়লে? সেই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। তাই নির্বাচনের সময় তীব্র উত্তাপের আশঙ্কায়, ভোটার, আধিকারিক এবং নিরাপত্তাকর্মীদের উপর তাপপ্রবাহের প্রভাব হ্রাস করার জন্য একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। তাপপ্রবাহের শঙ্কা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতেও। সেই জেলাগুলিতে এই ধরনের ব্যবস্থা করার জন্য ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে কমিশন।
সাধারণত ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল ৭ টা থেকে। চলে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। তবে দাবদাহের কথা ভেবে সময় বাড়ানো হতে পারে। এছাড়াও অস্থায়ী শেড বসানো, ওআরএস এবং লেবুজলের ব্যবস্থা করা, মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন রাখার কথা ভাবছে কমিশন। এ
প্রসঙ্গত, তাপপ্রবাহের মধ্যে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি, রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশন উভয়ের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। রাজ্যের সমস্ত বুথে ১৫ বাই ১৫ ফুটের অস্থায়ী শেড তৈরি করা হচ্ছে। এবার সব বুথে ভোটগ্রহণকারী দল ও ভোটারদের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী শেড থাকবে।
মহানগর ডেস্ক : জেলাগুলির তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৪০-এর ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। দহন জ্বালায় পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ। আর্দ্রতাজনিতকষ্টে ভুগছে দক্ষিণবঙ্গবাসী। কলকাতাতেও তাপমাত্রা ৪০এর দোরগোড়ায়। এদিকে, অসহ্য গরমেই নাকি শুরু হয়েছে বিয়ের তোরজোর। চৈত্র পার করলেই বৈশাখ মাস। তার আগে রেজিস্ট্রি ম্যারেজের জন্য সেরে রাখা হয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। ১৬০০০ বিয়ে হতে চলেছে এপ্রিল-মে মাসে। তাও শুধুমাত্র বাংলায়।
একদিকে বিয়ের তোরজোর শুরু, অন্যদিকে, জোর কদমে চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতিও।
রাজ্যে ১৯ এপ্রিল তিন কেন্দ্রে ভোট। প্রচারে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। নির্বাচনী মরশুমেই কেন বিয়ের হিড়িক? নেপথ্যে কি বিশেষ কোনো কারণ রয়েছে? স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট মোতাবেক বিয়ের রেজিস্ট্রির জন্য সমস্ত নথি দিয়ে ৩০ দিন আগে আবেদন জানাতে হয়। আর হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টে সাত দিন আগে করতে হয় রেজিস্ট্রির জন্য আবেদন। রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, যাবতীয় আবেদন যাচাই করা হয়। এরপরেই এপ্রিল এবং মে মাসে রেজিস্ট্রির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আর সংখ্যাটা ১৬ হাজারেরও বেশি। অর্থাৎ ভোটবঙ্গে বিয়ের উপর আলাদা করে কোনও প্রভাব পড়ছে না বলেই জানাচ্ছেন আধিকারিকরা।
এই গরমে বিয়ের তোরজোরের কথা শুনে অস্বস্তি বাড়ারই কথা। যেমন গরম, তেমন আর্দ্রতাজনিত কষ্ট বাড়ছে দিন দিন। খাওয়া দাওয়া থেকে সাজ পোশাক-সব কিছুই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তবে, রেজিস্ট্রি করলেও অনেকে বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছেন পরেই। যেহেতু আগে থেকে ম্যারেজ রেজিস্টারকে বুক করার বিষয় থাকে, আর বৈশাখ যেমন বাংলা মাসের শুরু, তেমনই বিয়ের বিয়ের মাস, ফলে আগে থেকেই ডেট ঠিক করে ফেলেছেন অনেকে। সেই সময় ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়নি। সবটা একসঙ্গে হলেও সঠিক ভাবেই ম্যানেজ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী পাত্র ও পাত্রীপক্ষের পরিবারের লোকজনরা।
প্রখর রৌদ্র! গরমে নাজেহাল! ভক্তদের জন্য এবার বিশেষ ব্যবস্থা মন্দির কর্তৃপক্ষের
মহানগর ডেস্ক : মার্চ থেকেই ভোগান্তি শুরু। তাপপ্রবাহে শুরু দহনজ্বালা। এপ্রিলে আরো তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। লু এর সতর্কতাও জারি হয়েছে। এবার ভক্তদের কথা ভেবে বিশেষ আয়োজন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে।ইতিমধ্যেই বারণসীতে পারদ ছুঁয়েছে ৩৮ ডিগ্রিতে। সারা বছরই ভক্তরা ভিড় জমান কাশীতে। চৈত্র ও বৈশাখ মাশে বাবা বিশ্বনাথের দর্শনে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। তবে গরম বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজও গভীর হয়। কারণ অতিরিক্ত গরমে ভিড়ের চাপে যাত্রীরদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। গ্রীষ্মকালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবার নয়া পরিকল্পনা নিয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, চাঁদিফাটা রৌদ্রে হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে প্রবল। এই সময় বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলকেই সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। মন্দিরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বভূষণ মিশ্র জানিয়েছেন, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের জন্য জলের কুলার, মাটতে ভেজা পাটের মাদুর ও ছায়ার জন্য জার্মান হ্যাঙারের ব্যবস্থা থাকবে। ভক্তরা যাতে গরমে কষ্ট না পান তার জন্য সবরকম ব্য়বস্থা নেওয়া হচ্ছে।দর্শনার্থীদের চিকিৎসা পরিষেবায় কোনও রকম খামতি রাখতে চায় না মন্দির কর্তৃপক্ষ। কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন সঙ্গে সঙ্গে যেন তাঁকে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা যায় তার জন্য় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য মন্দিরের কাছাকাছি গ্রীষ্মকালের জন্য অস্থায়ী হাসপাতালও খোলা হবে।
উল্লেখ্য, ভক্তদের কথা ভাবায় মন্দির কর্তৃপক্ষের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভক্তরা। প্রচণ্ড গরমে আর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে যেতে কোনো বাধা রইল না। একদিকে যেমন চড়চড়িয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা, অন্যদিকে, গরম কমানোর উপায়ও বের করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
এবার বাড়বে অস্বস্তিকর গরম, ফের কবে হবে বৃষ্টি, জেনে নিন কি বলছে হাওয়া অফিস
মহানগর ডেস্ক: শীত পেরিয়ে এখন বসন্ত চলছে। তবে এবার বসন্তের হাওয়াও জানান দিচ্ছে গরম আসছে। গত সপ্তাহে বেশ ভালোই বৃষ্টিতে ভিজেছে বাংলা। এমনকি মঙ্গলবারও রাতের দিকে বেশ কয়েকটি জেলায় হয়েছে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি। তবে আজ বুধবার থেকে আর বৃষ্টির আপাতত সম্ভাবনা নেই। উল্টে বাড়বে অস্বস্তিকর তাপমাত্রা। ফের কবে হবে বৃষ্টি। জেনে নিন কি বলছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। রবিবার ফের বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গেও এই কয়েকদিন আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। উল্টে এই কয়েকদিনে গরম বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। কলকাতায় শনিবার পর্যন্ত কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ থেকে ২০ ডিগ্রির আশেপাশে। রোদ ঝলমলে আকাশ থাকবে। তবে কিছুটা রোদের তেজও বাড়বে বলেই জানানো হয়েছে। কলকাতার সঙ্গেই জেলার তাওমাত্রাও কিছুটা বাড়বে এই কয়েকটা দিনে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গেই বঙ্গ জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস
মহানগর ডেস্ক: শীত বিদায় নিচ্ছে। তা এবার জানান দিতে শুরু করেছে। বাইরে বেরালে কপালে জমছে ঘাম। কলকাতার পারদ গিয়েছে ২০ ডিগ্রির উপর। চালাতে হচ্ছে ফ্যান। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আর শীত কমার সম্ভাবনা নেই। এবার বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা। সেই সঙ্গেই জেলায় জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানানো হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ৩০ ডিগ্রির উপরে যাবে পারদ। অন্যদিকে আজ রবিবার বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে বঙ্গোপসাগরে। যার কারণে বাংলায় ঢুকবে জলীয় বাষ্প। এতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে জেলায় জেলায়। জানা গিয়েছে নতুন সপ্তাহে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে । উপকূলবর্তী জেলায় বেশী বৃষ্টির সম্ভাবনা।পাহাড়ি জেলাতে বৃষ্টি হতে পারে। এই মেঘলা আকাশের জন্য আগামীকাল সোমবার থেকে পারদ আরও বাড়বে। তবে পশ্চিমের জেলায় আরও কিছুদিন ঠাণ্ডা থাকবে।
আজ রবিবার কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে এক ডিগ্রি বেশি বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৫ থেকে ৯৫ শতাংশ। ৩৪ ডিগ্রির কাছাকাছি যেতে পারে তাপমাত্রা। বুধবার রাজ্যের ১১ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।