মহানগর ডেস্ক : ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এআইএ আধিকারিকরা। তিন তৃণণূল নেতাকে এনআইএ তলব করতেই দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃমূলের প্রতিনিধি দল।নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধির মাঝে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কার্যকারিতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, এনআইএ আধিকারিকদের উপর হামলা বিতর্কের মাঝেই তৃণমূলের তিন নেতাকে তলব করা হয়। ডাক পড়ে তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানব কুমার পইড়া, সুবীর মাইতি ও নবকুমার পাণ্ডারকে নোটিশ দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ঘটনায় পাঁচ তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসে। তিন তিনবার নোটিশ করা হলেও পরপর শেষ দুবার ভোটের অজুহাত দেখিয়ে কেউ হাজিরা দেয়নি বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে তৃণমূলের জেলা পরিষদে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানবকুমার পড়েয়া, সুবীর মাইতি ও নবকুমার পাণ্ডা। তাদের ফের নোটিশ দিয়েছে এনআইএ । সোমবার তাদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। শনিবারই তিনজনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলে। সোমবার নিউটউনে এনআইএ দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। পাল্টা কমিশনের দুয়ারে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের ১০ সদস্য। বিকেল ৪টেয় সাক্ষাৎ কমিশনারের সঙ্গে। এরা হলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, নেতা, সাংসদ মোহাম্মদ নাদিমুল হক, দোলা সেন, সাকেত গোখলে, সাগরিকা ঘোষ, প্রাক্তন বিধায়ক বিবেক গুপ্ত, বিধায়ক, প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, ডঃ শান্তনু সেন, প্রাক্তন সাংসদ, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, ছাত্র পরিষদ নেতা সুদীপ রাহা। মূলত, বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্যবহার করার অভিযোগ তুলে কমিশনে নালিশ জানাবেন তৃণমূল নেতারা।
উল্লেখ্য, রবিবার গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তির বাড়িতে যায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কুণাল ঘোষ সহ রাজ্য ও জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। পরিবারের সঙ্গে দেখা করেনে। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা। এখন দেখার আজ বাকি তিনজন হাজিরা দেয় কি না।