মহানগর ডেস্ক: বিধানসভায় সিএজি রিপোর্ট নিয়ে মঙ্গলবার মুলতুবি প্রস্তাব এবং আলোচনার দাবি জানায় বিজেপি। এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেন। সভা উত্তপ্ত হয় বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদে। কেন সিএজি রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হবে না? এই দাবি তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী বিধায়কদের বলেন, “আপনারা প্রতিবাদ করুন। আমি আপনাদের সাসপেন্ড করবো না।”
এদিকে বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “আমরা সিএজি রিপোর্ট নিয়ে সভায় আলোচনা চেয়েছিলাম, সেটা খারিজ করে দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা বিরোধীদের অথচ বিরোধীদেরই সভায় কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। বিধানসভায় এসব আমরা বললে ওরা বলছে লোকসভায় বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। এটা কোনও যুক্তি নয়। আমরা লোকসভায় নেই, বিরোধী হিসাবে বিধানসভায় আছি। অথচ আমাদের বিধানসভায় বলার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে এই প্রশাসন। যদি সিএজি রিপোর্টে গলদ থাকবে তাহলে আলোচনা করতে দিক। আসলে ওই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করলেই রাজ্য সরকারের দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসে যাবে তাই আলোচনা করতে দিল না।”
প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারী আগেই বলেছিলেন, “বিধানসভার বাজেট শেসনে আমরা সিএজি রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার দাবি তুলবো”, সেই মতোই সিএজি রিপোর্টের উপর আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল, যা খারিজ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। এদিকে এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ” সিএজি রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভার এটা আলোচ্য বিষয়ই নয়। ২০০৩ থেকে ২০২১ পর্যন্ত সিএজি রিপোর্টে উল্লেখ আছে। এর পুরোটাই ২০২১ সালে পরাজয়ের কারণে বিজেপির প্রতিহিংসা। এখন দেখছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ লক্ষ শ্রমিককে ২১ ফেব্রুয়ারি টাকা দেবেন, তাই ওরা পাগল হয়ে গিয়েছেন। বিধানসভায় নাটক করে করুক, সিএজি নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না।”