মহানগর ডেস্ক: মায়ের কোল থেকে শিশুকে ছুড়ে ফেলাসহ শিশু নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সন্দেশখালীতে নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন প্রতিবেদন চেয়েছে। এই নিয়েই রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যরাও তদন্ত করেন। তারপরেই সামনে এসেছে ‘বড়বাবু’, ‘মেজোবাবু’র নাম।
আজ শনিবার সকালে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের ৬ সদস্যের দল এসে পৌঁছয় সন্দেশখালিতে। কিন্তু কেন ৭ দিন পরে? প্রশ্ন করায়, চেয়ারপার্সন তুলিকা রায় বলেন, “সাত দিন আগে আমাদের কাছে কোনও খবর আসেনি। যখন আমাদের কাছে খবর আসে, তখনই আমরা সক্রিয় হই। আমাদের আগে কাল বিকালে খবর এসেছে।”রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্য সুদেষ্ণা রায় বলেন, “আমার কাছে খবর এলে, তবেই তো সক্রিয় হব।” NCPCR-এর সদস্যদের বক্তব্য, এতদিন তাঁরা চোপড়ায় ছিলেন। কারণ সেখানে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়া মাত্রই সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেই তাঁরা খবর পেয়েছেন। অন্যদিকে আক্রান্ত শিশুর মায়ের বক্তব্য, “এখন তো বাড়ি থেকে বেরোতেই পারছি না। মুখ খুললে বাচ্চাকে নিয়ে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশই তো সন্ত্রাস করছে। বিশ্বাসটা কাকে করব? শিশু সুরক্ষা কমিশনকে সামনে পেলে অবশ্যই সবটা বলব। আমার স্বামী ঘরছাড়া। ও ঘরে এলে খুন করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”
অন্যদিকে নিগৃহীতা বলেন, “আমার সঙ্গে যা যা হয়েছে, সেগুলো সত্যি বলেছে। সেদিন আমাদের বাড়িতে পুলিশের ড্রেস পরা লোক এসেছিল, মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। সবার পায়ে বুটও ছিল না, চপ্পলও ছিল। আমার ফোনে ২ জনের ছবি রয়েছে। সন্দেশখালির বড়বাবু ও হিঙ্গলগঞ্জ থানার মেজোবাবু ছিলেন। লাথি মারতে গিয়ে একজনের প্যান্টও ছিড়ে যায়। গ্রামবাসীরা যখন এসে প্রতিবাদ করেন, তখন ওরা এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছিল। আমার বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে দেয়। আমার স্বামী বলল, যা দরকার, ক্যাম্পে গিয়ে বলব”। কমিশনের সদস্যের বক্তব্য, “আমরা যেটা শুনেছি। ও জানলার ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। টানাটানি হচ্ছিল, তখন বাচ্চাটা কোল থেকে পড়ে যায়। ওঁর স্বামী এক হাত দিয়ে বাচ্চাটাকে ধরে নেন। ওঁ এখন বাচ্চাটাকে নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত। আমরা ডিএম-কে জানিয়েছি। জেলা প্রশাসন এসপি-র সঙ্গে কথা বলেছেন, CMOHএর সঙ্গে কথা বলেছেন।”