মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালির ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি এবার ভূপতিনগরে! গত ৫ জানুয়ারি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে যেভাবে শেখ শাহজাহান বাহিনী ও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা, শনিবার সেই ঘটনারই যেন রিপিট টেলিকাস্ট দেখা গেল ভূপতিনগরে। বোমা বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়লেন এনআইএ-র আধিকারিকরা। বলাই মাইতি নামে এলাকার এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। সেই সময় তাঁদের গাড়ি ঘিরে ধরে কিছু গ্রামবাসী। ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য দাবি করা হয় বিক্ষোভকারীদের তরফে। দুই তরফে বচসা চলার পর এনআইএর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। পুরো টিমের মধ্যে দুই এনআইএ আধিকারিক সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানতে পারা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বোমা বিস্ফোরণের পর ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনআইএ একাধিকবার ডাকলেও তিনি হাজিরা দেননি বলে অভিযোগ। এরপর বলাইয়ের খোঁজে ভূপতিনগরে যায় টিম এনআইএ। তাকে খুঁজে বের করে গাড়িতে তোার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গ্রামবাসীরা। জনরোষের মুখে পড়েন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। হামলার ঘটনায় দুজন তদন্তকারী অফিসার জখম হয়েছেন বলে খবর।তাঁদের তরফে অভিযোগ জানানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এনআইএ তদন্তকারীরা বলাই মাইতি, মনোব্রত জানা নামের দুই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীকে আটক করেছে বলে জানাগিয়েছে। এদিকে হামলার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
The NIA Team, probing the Bhupatinagar Bomb Blast Case has come under attack at Bhupatinagar in the Bhagabanpur Assembly Constituency, of Purba Medinipur District.
The Law and Order structure of West Bengal has crumbled completely and since the control is right now with the… pic.twitter.com/7rObpoNPGK
— Suvendu Adhikari (Modi Ka Parivar) (@SuvenduWB) April 6, 2024
ভূপতিনগরের ঘটনাকে হাতিয়ার করে এবার আসরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্সে তিনি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন,”ভূপতিনগর বোমা বিস্ফোরণ মামলার তদন্তকারী এআইএ টিম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভূপতিনগরে হামলার শিকার হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা কাঠামো পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে এবং যেহেতু নিয়ন্ত্রণ এখন ভারতের নির্বাচন কমিশনের হাতে, তাই সময় এসেছে ভূপতিনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এসডিপিও কন্টাই, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এসপি এবং ডব্লিউবি পুলিশের ডিজির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারবার প্ররোচনার কারণে যে সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের আক্রমণ করার পরেও, টিএমসি নেতারা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধকারিকদের ওপর আক্রমণ করার সাহস করতে পারে। তিনি সম্প্রতি কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গায় রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে এনআইএ সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেছেন। এআইএ টিম বলাই মাইতি এবং অন্যদের যারা সমন পাওয়ার পরে সহযোগিতা করেনি তাদের গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল। পরিবর্তে এই টিএমসি নেতারা কীভাবে জাতীয় তদন্ত সংস্থার অফিসারদের উপর আক্রমণ করবেন তার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন।”