Home Bengal শীর্ষ আদালতে এসএসসি মামলার শুনানি মঙ্গলবার

শীর্ষ আদালতে এসএসসি মামলার শুনানি মঙ্গলবার

by Mahanagar Desk
52 views

মহানগর ডেস্ক : সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি নিয়োগ বাতিল মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি হবে। ওইদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ শুনবে আনুমানিক ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের মামলা।

সুপ্রিম কোর্টে সোমবার এই মামলার শুনানির কথা ছিল। গত সোমবার শীর্ষ আদালত শুনানিতে এই মামলায় চাকরি বাতিলের উপর স্থগিতাদেশ খারিজ করে সর্বোচ্চ আদালত। যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। সোমবার এই মামলার বিস্তারিত শুনানি হওয়ার কথা ছিল। যোগ্যদের আইনি সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রসঙ্গত,  গত ২২ এপ্রিল ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরিচ্যুত হন। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেখানে রাজ্য সরকার ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। শীর্ষ আদালতে যান চাকরিহারাদের একাংশও। সোমবার একত্রে এই সংক্রান্ত প্রায় ১০টি মামলা শোনার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিদের বেঞ্চেক। গত শুনানিতে প্যানেল থেকে কী ভাবে যোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব হবে সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। নিয়োগ প্রক্রিয়ার একাধিক ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিলের পাশাপাশি যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে ওই চাকরিপ্রাপকদের। হাই কোর্ট জানায়, এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগগুলি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। প্রয়োজনে তারা সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। অভিযোগ ছিল, অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার জন্য বাড়তি পদ তৈরি করা হয়েছিল এসএসসিতে। সেই পদ তৈরির অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রিসভা। কলকাতা হাই কোর্ট আরও জানায়, সিবিআই চাইলে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। হাই কোর্টের এই রায়ের খবর প্রকাশ্যে আসতে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে চাকরিহারাদের মধ্যে। তাঁদেরও প্রশ্ন, কয়েক জনের দুর্নীতির জন্য সকলের চাকরি কেন বাতিল করা হবে? বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরাও। এ বার সেই মামলায় দেশের শীর্ষ আদালত কী করে, সে দিকে নজর ছিল সব পক্ষের। মন্ত্রিসভার সদস্যদের ডেকে সিবিআই জেরা করতে পারবে এবং প্রয়োজনে হেফাজতে নিতে পারবে, কলকাতা হাই কোর্টের এই রায়ের উপর শীর্ষ আদালত সোমবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেয়, সেই মামলারই শুনানি ছিল সোমবার যা পিছিয়ে মঙ্গলবার করা হল।

You may also like

Mahanagar bengali news

Copyright (C) Mahanagar24X7 2024 All Rights Reserved