Crime
ছেলেকে বিষ খাইয়ে ও লিভ-ইন-পার্টনারকে হাতুরি দিয়ে করে খুন করে আত্মহত্যা করলেন ব্যক্তি
মহানগর ডেস্ক: শ্রদ্ধা কান্ডের ছায়া। ফের লিভ-ইন-পার্টনারকে খুন। শনিবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহরের একটি হোটেল রুমে ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তার লিভ-ইন পার্টনার এবং তাদের তিন বছরের ছেলেকে খুন করার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছে। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
মহানগর ডেস্কঃ ঘৃণ্য, দক্ষিণ গোয়ার ভাস্কো এলাকায় একটি নির্মাণ সাইটের পিছনে একটি পাঁচ বছরের শিশু কন্যার দেহ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল এবং তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। নির্মাণস্থল থেকে প্রায় ২০ জন শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
তথ্য অনুযায়ী, নির্যাতিতার বাবা-মা শুক্রবার সাইটের পিছনে তার মৃতদেহ খুঁজে পান। মেয়েটি নিখোঁজ ছিল। দেহ উদ্ধারের পর তারা অবিলম্বে তাদের মেয়েকে চিকালিম সাব-জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মেয়েটির মা অভিযোগ করার পর ভাস্কো পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং নিশ্চিত করে যে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। দক্ষিণ গোয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুনিতা সাওয়ান্ত বলেছেন যে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত পরীক্ষায় জানা গিয়েছে যে নির্যাতিতাকে প্রথমে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল এবং পরে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
পুলিশ সুপার বলেছেন, “আমরা নির্মাণ সাইটে কাজ করা ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিককে গ্রেফতার করেছি, এবং আমাদের তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ভাস্কো পুলিশ, রাজ্যের পক্ষে, আইপিসির 376, 302 ধারার অধীনে যৌন নিপীড়ন এবং হত্যার একটি অপরাধ নথিভুক্ত করেছে সেই সঙ্গে POCSO আইনের অধীনে এবং গোয়া শিশু আইনের অধীনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
নৃশংস, ১৮ মাসের কন্যা সন্তানকে খুন করে কবর দিল বাবা-মা, পুলিশকে পাঠাল বেনামী চিঠি
মহানগর ডেস্ক: ভয়ঙ্কর ঘটনা। ১৮ মাসের সন্তানকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিলেন বাবা মা। সেই সঙ্গেই পুলিশকে পাঠান একটি বেনামী চিঠি। এই ঘটনার খবর সামনে আসতেই রীতিমত সকলে চমকে উঠেছেন। বাবা মা হয়ে কিভাবে নিজের সন্তানের সঙ্গে এমন নৃশংস কাজ করতে পারেন তা ভেবেই শিউরে উঠছেন অনেকে।
পুলিশ জানিয়েছে একজন দম্পতি তাদের ১৮ মাস বয়সী মেয়েকে খুন করে এবং তাকে মহারাষ্ট্রের থানে একটি কবরস্থানে গোপনে করব দেয়। তারপর পুলিশের কাছে একটি বেনামে চিঠি পাঠায়। সেই অভিযোগের তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে। একজন পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, এই দম্পতিকে জাহিদ শেখ ৩৮ এবং তার ২৮ বছর বয়সী স্ত্রী নুরামিকে ১৮ মার্চের হত্যাকাণ্ডের জন্য বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে। মুম্বরা থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর অনিল শিন্ডে বলেছেন, “পুলিশ সম্প্রতি একটি বেনামী চিঠি পেয়েছে যে দম্পতি তাদের সন্তান, লাবিবাকে খুন করেছে এবং নীরবে কবরস্থানে কবর দিয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং দম্পতিকে আটক করে। প্রাথমিকভাবে, অভিযুক্তরা সহযোগিতা করেনি, কিন্তু পরে তারা কীভাবে অপরাধ করেছে তা বলেছে। । তবে তারা হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য প্রকাশ করেনি।”
পুলিশ আরও জানিয়েছে, “এই দম্পতি পুলিশকে বলেছিল যে তারা তাদের মেয়েকে ১৮ মার্চ খুন করেছে, পরে স্থানীয় কবরস্থানে দেহ কবর দিয়েছে। পরে পুলিশ পচনশীল দেহটি উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিশ্চিত করেছে যে শিশুটির মাথায় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাত ছিল।” ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা 302 (খুন) এবং 201 (অপরাধের প্রমাণ হারিয়ে দেওয়া) এর অধীনে একটি মামলা পুলিশের কাছে নথিভুক্ত করা হয়েছে। দম্পতিকে বুধবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়েছিল এবং ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
সাবধান, ৪-৫ লাখ টাকার বিনিময়ে নবজাতক বিক্রি, মিলল শিশু পাচারকারীদের হদিশ, কোথায় জানুন
গুরুদ্বারের সামনেই কারসেবা প্রধানকে গুলি করে খুন, ভয়ঙ্কর ঘটনা ধরা পড়ল ক্যামেরায়
মহানগর ডেস্ক: ভয়াবহ ঘটনা। বৃহস্পতিবার ভোরে উত্তরাখণ্ডের নানকমত্তা সাহিব গুরুদ্বারের ডেরা কারসেবা প্রধানকে গুরুদ্বার প্রাঙ্গনে গুলি করে খুন করা হয়েছে। মোটরসাইকেল করে এসে দুই হামলাকারী গুলি চালায় । ক্যামেরায় এমনটাই ধরা পড়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ভিজ্যুয়ালে দেখা গিয়েছে, যে বাইকে করে এসে দুই আততায়ী কারসেবা প্রধানকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে দুটি গুলি ছুড়লে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মৃত ব্যক্তিকে বাবা তারসেম সিং নামে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অভিনব কুমার বলেছেন যে তারা শীঘ্রই জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এই মামলার তদন্তের জন্য স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) এবং স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের সহ একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করা হয়েছে।
মহানগর ডেস্কঃ কলকাতা বিমানবন্দরে ভোরবেলা এক রক্তারক্তি দৃশ্য। ভোরের দিকে ৫ নম্বর গেটের দিক থেকে আচমকা শোনা গেল গুলির আওয়াজ। গুলির আওয়াজ শুনে কর্মরত সিআইএসএফ কর্মী থেকে শুরু করে কর্তব্যরত অন্যান্য কর্মীরা ছুটে যান। নিজের এসএলআর রাইফেল থেকে, তিনি নিজেকেই গুলি করে আত্মঘাতী হন। কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আহত জওয়ানকে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
ঘটনাটি আজ বৃহস্পতিবার, কলকাতা বিমানবন্দরে ভোর ৫:১৫ থেকে ৫:৩০ নাগাদ। আচমকাই ৫ নম্বর গেট এর দিক থেকে গুলির আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। সিআইএসএফ জওয়ানের নাম শ্রীবিষ্ণু। আহত জওয়ানের বাড়ি তেলঙ্গানায়। তিনি নিজেই নিজের এসএলআর রাইফেল চালিয়ে নিজেকেই গুলি করেছেন। সূত্রের খবর, গুলির আওয়াজ শোনা মাত্র কর্মরত সিআইএসএফ কর্মী এবং কর্তব্যরত কর্মীরা সবাই সেদিকে ছুটে যান। তারপর ওই জওয়ানকে, বিমানবন্দর সংলগ্ন ভিআইপি রোডের পাশেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, জওয়ানের এরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কি কারণ? কেন তিনি এইভাবে আত্মহত্যা করলেন, তার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই বিষয়ে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং সিআইএসএফ আধিকারিকেরাও এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন। মৃত জওয়ানের পরিবারকে খবর পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে তাঁদের নিয়মানুযায়ী কর্তব্যরত কোনো সিআইএসএফ জওয়ান,মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে এই জওয়ানের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে, যার জেরে রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। তদন্তে যাঁরা নেমেছেন তাঁরা মনে করছেন এর সাহায্যে বিষয়টির আসল কারণ জানা যেতে পারে। কোনো কারণে এই জওয়ান কর্মক্ষেত্রে বা ব্যক্তিগত জীবনে কোনো সমস্যা ছিল কিনা, বা কোনো কারণে অবসাদে ভুগছিলেন কিংবা হতাশ ছিলেন কি না সেই বিষয়ে তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা বুঝতে পারছেন না তাঁদের বাড়ির ছেলের এমন করার কারণ কি। তাঁরাও জানতে চান এর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে।
মহানগর ডেস্কঃ খাস কলকাতাতে মধ্যরাতে এক ফুটপাথ যুবককে পিটিয়ে খুন করার মতো এক ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে। ঘুমন্ত যুবককে কি কারণে পিটিয়ে খুন করা হল সেই নিয়েই পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৌবাজারের ফুটপাথে, মঙ্গলবার গভীর রাতে। যুবকের নাম সঞ্জয় মল্লিক,বয়স ২৬ বছর। জানা গিয়েছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের অঞ্চলে, বৌবাজার এলাকায় এক যুবক ফুটপাথে ঘুমাচ্ছিলেন। ফুটপাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন, এমন সময় কিছু জন এসে তার ওপর হামলা চালায়। একটি গাড়ি ভাড়া করে বৌবাজারে অনেকজন আসেন ওই যুবককে মারতে। তার পরেই পিটিয়ে খুন করা হয়।
এই ঘটনায় পুলিশ একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পেরেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম যারসুমিতকুমার সাউ । পুলিশ অনুমান করছেন, সঞ্জয়কে পুরোনো কোনো শত্রুতার জেরেই পিটিয়ে খুন করা হয়েছে । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ১টা ৪০ নাগাদ, যখন সঞ্জয় মল্লিক নামের যুবক বৌবাজারের, ব্যাঙ্ক অফ বরোদার সামনের ফুটপাথে শুয়ে ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময় তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। কংক্রিটের ব্লক তুলে সঞ্জয়ের উপর ফেলা হয়। তারপকর অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। জানা গেছে, ১৯ বছর বয়সি এই সুমিতকুমার সাউ নামের যুবক খুনের ঘটনায় ওতপ্রোত ভাবে জড়িত রয়েছে। পুরোনো কোনো শত্রুতা ছিল দুজনের মধ্যে। তার জেরেই খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
রাস্তায় ওই যুবকের এমন অবস্থায় পরে থাকতে দেখে চোখ যায় রাস্তা দিয়ে ওই সময় যারা যাচ্ছিলেন। তারপর তড়িঘড়ি ওই যুবককে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তরুণীকে PF -এর টাকা দেওয়ার পরিবর্তে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব, গ্রেফতার ম্যানেজার
ঘৃণ্য, নাবালিকাকে ধর্ষণ, সেই ভিডিও অনলাইনে শেয়ার করল অভিযুক্ত ব্যক্তি
মহানগর ডেস্ক: মনুষ্য রূপে পশু বললেও ভুল বলা হবে। দেশে যে হারে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে তাতে সত্যি কপালে জমছে চিন্তার ভাঁজ। বিশেষ করে কিছু মানুষের বিকৃত যৌন লালসার শিকার হচ্ছে নাবালিকারা। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে উঠেছে ১৬ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। শুধু তাই নয় মেয়েটিকে ধর্ষণের পর সেই ঘৃণ্য কাজের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ারও করেছেন।
সার্কেল অফিসার (সিও) রাজকুমার সাভ বলেছেন, অভিযুক্ত ওয়াসিম দুই সপ্তাহ আগে একটি আখ ক্ষেতে ১৬ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিল এবং সেই জঘন্ন কাজের কাজের একটি ভিডিও তৈরি করেছিল। মেয়েটির পরিবারের দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনাটি কাউকে জানালে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার হুমকি দেন ওয়াসিম। পুলিশ জানিয়েছে, “অভিযুক্ত মেয়েটিকে জোর করে একটি আখ ক্ষেতে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ করে। সে মেয়েটিকে ভয় দেখিয়েছিল যে সে ঘটনাটি কাউকে জানালে ভিডিওটি প্রকাশ করবে। হুমকির ভয়ে, মেয়েটি ঘটনার বিষয়ে কারো কাছে অভিযোগ করেনি।”
মুখ বন্ধ রাখার পরেও মঙ্গলবার অভিযুক্ত ভিডিওটি অনলাইনে পোস্ট করলে মেয়েটির বাবা-মা পুলিশের কাছে যান । পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পলাতক ওয়াসিমকে খুঁজতে পুলিশের একাধিক দল গঠন করা হয়েছে।