মহানগর ডেস্ক: দুর্গাপুুরের জনসভা থেকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বললেন, “আপনারা এর আগে ১৮টি আসন নরেন্দ্র মোদীজীকে দিয়েছেন, মোদীজী রামমন্দির তৈরি করেছেন, আপনারা যা চাইতেন। আপনারা তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দিন, তাতে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। মনে রাখবেন, অনুপ্রবেশকারীরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট ব্যাঙ্ক। এই ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রণ পেয়েও রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আসেননি।” পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূূল, কংগ্রেস ও বমেদের সমালোচনা করেন। পাশাপাশি সভায় উপস্থিত জনতার কাছে প্রশ্ন করেন, “৪০০ পারনকরছেন তো?”
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে সোমবার সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী জনসভায় এলে যে ভঙ্গিতে বাঙালি মনীষীদের শ্রদ্ধা জানান অমিত শাহের গলাতেও তা শোনা গেল।
তারপরই অমিত শাহ বললেন, “বিশ্বের তিন নম্বর অথনৈতিক শক্তিশালী দেশ হিসাবে ভাতরকে তুলে ধরতে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের আবার ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন। আপনারা ১৮ টি আসন দিয়ে মোদীজিকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। মোদী আপনাদের দাবিকে মর্যাদা দিয়ে রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন ২২ জানুয়ারি, ২০২৪। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রামমন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানান হয়েঋিল কিন্তু ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে মমতা রামকে খারিজ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেবেন?” সভায় উপস্থিত জনতা বলে ওঠেন না।
এরপর একই ইস্যুতে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূলকে সমালোচনা করে অমিত শাহ বলেন, “৩৭০ ধারা জম্মু-কাশ্মীর থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে। রাহুলবাবা(পড়ুন রাহুল গান্ধী) ৩৭০ প্রত্যাহারের বিরোধীতা করেছিলেন। ৭০ বছর ধরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার আটকে ছিল। মোদীজী ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছেন।”
অমিত শাহ বলেন, “গত ১০ বছরে রাজ্যে অনুপ্রবেশ বেড়েছে। অনুপ্রবেশকারীরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট ব্যাঙ্ক। এদের মদতেই সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, “দুর্গাপুর শিল্প শহর। দিদি এই শহরকে দুস্কৃতীদের শহরে পরিণত করেছেন। দিলীপ ঘোষ জিতলে দুর্গাপুরের সব বন্ধ কারখানা আবার চালু হবে।”
রাজ্যের তোলাবাজি, দুস্কৃতীরাজ সহ নানা বিষয় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে অমিত শাহ বলেন, “ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে মমতাদিদি সিএএ-র বিরোধিতা করছে। ভোটে এই রাজ্যে হিংসা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুন্ডাদের কেউ ভয় পাবেন না। সন্দেশখালিতে দুর্নীতি হল, মমতাদিদি তাকে আড়াল করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লজ্জা হওয়া উচিত তিনি একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, আপনার আমলে সন্দেশখালিতে মহিলাদের ইজ্জত লুঠ হল। যারা এই কাজ করেছে, তারা পাতালে লুকোলেও তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেব।”
এদিন অমিত শাহর মুখে দিলীপ ঘোষের প্রশংসা করে অমিত শাহ বলেন, “দিলীপ ঘোষ যখন রাজ্য বিজেপির দায়িত্বে তখন বাংলায় বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে।”