মহানগর ডেস্ক: আজ ফের দিল্লির রাজপথে জড়ো হয়েছেন কৃষকরা। প্রায় ২০ হাজার কৃষকের সমাবেশ হতে বলেই জানা গিয়েছে।আনুমানিক ২০০টি কৃষক ইউনিয়ন সমবেত হয়ে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারী ‘দিল্লি চলো’ এই ডাক দিয়েছে। কেন্দ্রের কাছে এমএসপি নিয়ে আইন সহ একাধিক দাবি নিয়েই এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। কৃষক আন্দোলন ঘিরে অশান্তি এড়াতে সতর্ক হয়েছে দিল্লি পুলিশ। সিল করে দেওয়া হয়েছে পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্ত।
দিল্লি পুলিশ, সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীতে কৃষকদের পদযাত্রার আগে উচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে। প্রায় ২০০টি কৃষক সংগঠন প্রতিবাদ পরিকল্পনার অংশ নিয়েছে ন্যূনতম সমর্থন মূল্য এবং পেনশন সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য একটি আইন সহ তাদের বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়ে। ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষক আন্দলনের আগে হরিয়ানা পুলিশ একটি ট্র্যাফিক পরামর্শ জারি করেছে। যেখানে খুব প্রয়োজন না হলে লোকেদের রাজ্যের প্রধান রাস্তাগুলি এড়িয়ে জেতে বলা হয়েছে। বিক্ষোভের আগে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে পঞ্চকুলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কৃষকদের মিছিল সম্পর্কে দিল্লি পুলিশও উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং দিল্লির সমস্ত সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখা হচ্ছে। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, ২,০০০ ট্রাক্টর সহ ২০,০০০কৃষক মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। এই কৃষকরা পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, কেরালা এবং কর্ণাটকের। আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করতে পারে এমন কিছু যাতে না হয় সেই কারণে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে দেওয়া হছে দিল্লিকে। উল্লেখ্য, ২৬ জানুয়ারী, ২০২১ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য পুলিশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, যেখানে প্রতিবাদী কৃষকরা রাজধানীর রাস্তায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে যুক্ত হয়েছিল। তাই দিল্লি পুলিশ মঙ্গলবার কৃষকদের শহরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখছে না। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিসেবা।
সূত্র আরও জানিয়েছে , বিশাল ব্যারিকেড রেখে হরিয়ানার শহরের সীমানা অবরোধ করছে পুলিশ। হরিয়ানাও প্রতিবাদী কৃষকরা যাতে দিল্লিতে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সিমেন্টের বস্তা, কাঁটাতার ও বালির বস্তা আনা হয়েছে। । কৃষকদের অবরুদ্ধ করতে ৫০টির মতো আধাসামরিক সংস্থাকে ডাকা হয়েছে। এমনকি রয়েছে জলকামানের ব্যবস্থা।