মহানগর ডেস্ক: টাকিতে আন্দোলনরত সুকান্ত-পুলিশ ধস্তাধস্তি, গাড়ির ছাদ থেকে পড়ে অজ্ঞান বিজেপি সভাপতিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বসিরহাট হাডপাতালে। অভিযোগ, পুলিশি বাঁধা ও প্রতিরোধে আক্রান্ত সুকান্ত মজুমদার।
বুধবার টাকি হোটেলে আন্দোলন করার আচমকাই পুলিশের গাড়ির ছাদ থেকে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে একটি গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে একটি গাড়িটি ছাড়া অন্য কোনও গাড়ি ছাড়েনি পুলিশ। সুকান্ত যখন পুলিশের গাড়ির ছাদে তখন এক মহিলা পুলিশকে পাঠানো হয় সুকান্তকে গাড়ির ছাদ থেকে নামাতে। ইতিমধ্যে বিজেপির এক মহিলা কর্মী গাড়ির উপর উঠে পড়েন। এই সময় পুলিশের গাড়িটি ড্রাইভার চালিয়ে দিলে সুকান্ত গাড়ির ছাদ থেকে বনেটের উপর পড়ে যান, তারপর সেখান থেকে মাটিতে পড়ে সুকান্ত জ্ঞানবহারান। এরপর সুকান্তর অনুগামীরা তাঁকে হুইল চেয়ারে করে তুলে অন্য একটি গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে রওনা দিয়েছে।
সুকান্ত মজুমদার সরস্বতী পূজা করার জন্য বুধবার সকাল থেকে উপোস করে ছিলেন। সেই অবস্থায় সুকান্ত সরস্বতী পূজা সেরে গাড়িতে সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠতে গেলে বিশাল পুলিশ বাহিনী আটকে দেয়। সুকান্ত তখন পুলিশের গাড়ির ছাদে উঠে পুলিশের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “আমায় হাউস অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। কাগজ কোথায়?” এই সময় পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি চলতে চলতে সুকান্ত মজুমদার গাড়ির ছাদ থেকে পুলিশ সুকান্তকে নামাতে চেষ্টা করে, তখনই সুকান্ত গাড়ির ছাদ থেকে পড়ে অচেতন হয়ে যান। সুকান্তকে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও দলের নেতৃত্ব।
এদিকে সুকান্তকে নিয়ে গাড়ি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হলে পুলিশ টাকি হোটেলের সামনে বিজেপি নেতাকর্মীদের উপর নির্ম ভাবে লাঠি চালায়। পুলিশের এই আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও। টাকি হোটেলে এখনও পুলিশ সক্রিয়। তবে শেখ শাহজাহানকে বা শিবু হাজরাকে গ্রেফতার করতে এর একাংশ তৎপরতাও দেখা যাচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের কার্যকলাপে।
রাজ্যের বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতির এই অসুস্থতার সময় রাজ্য পুলিশ বা পুলিশের কোনও পাইলট কার হাডপাতাল যাত্রায় নেই। বিজেপির অভিযোগ, উল্টে গাড়ির ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার পরও সাড়ে ৬ মিনিট পুলিশ সুকান্তকে হাডপাতালে নিয়ে যেতে বিলম্ব করিয়ে দেয়।