মহানগর ডেস্ক : আবরও দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী পরাকলা প্রভাকর নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তোপ দাগলেন। নির্মলা সীতারামনের স্বামী তথা অর্থনীতিবিদ প্রভাকর বলেন, “২০২৪ সালে আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদী বসলে দেশে আর কোনও নির্বাচন হবে না। আপনারাও আর তেমনটা আশা করবেন না। আপনি হয়তো চিনতেই পারবেন না। দেশের সংবিধান এবং মানচিত্র সম্পূর্ণ বদলে যাবে।”
প্রভাকর আরও বলেন, “অধিকাংশ সময় বিজেপি নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে যে ধরণের মন্তব্য শোনা যায়, দিল্লির লালকেল্লা থেকেও তেমন ঘৃণাশূচক ভাষণ শোনা যাবে। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে নরেন্দ্র মোদী নিজে দিল্লির লালকেল্লা থেকে কোনও রাখঢাক না করে ঘৃণাশূচক ভাষণ দেবেন। খোলাখুলিই ঘৃণাশূচক ভাষণ দেওয়া হবে দেশে।”
দেশের অর্থমন্ত্রীর স্বামী আরও বলেন, “মণিপুরের যে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, কুকি এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে ধরণের সংঘর্ষ তৈরি হয়েছিল, তা এবার গোটা দেশে দেখা যাবে। এমনটাও হতে পারে, যদি এই সরকার ফের ক্ষমতায় আসে তবে দেশে আর কোনও নির্বাচনঔ হবে না। ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আশা করবেন না আর। এর পর আর কোনও ভোটই হবে না ভারতে।”
এর আগে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন প্রভাকর। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “শুধুমাত্র ভারতবর্ষ নয়, গোটা বিশ্বের বৃহত্তম দুর্নীতি হল এই নির্বাচনী বন্ড। এটা দেশের প্রতিটি মানুষ বুঝতে পারছেন।” প্রভাকরের আরও দাবি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে এই নির্বাচনী বন্ড ইস্যুর দাম চোকাতে হতে পারে। এই বন্ড ইস্যুর জেরে এবারের ভোটে লড়াইটা হবে ভারতের জনগণের সঙ্গে বিজেপির।”
তবে পরাকলা প্রভাকর যে ভাবে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন সেই সরকারের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি হচ্ছেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রশ্ন স্বামীর এই ঘোষণায় কি সম্মতি আছে নির্মলার? অবশ্যই আছে বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল মনে করছে, কারণ, নির্মলা সাফ জানিয়েছেন, “ভোটে লড়ার মতো টাকা আমার কাছে নেই। আমি যা আয় করেছি তা একান্তই আমার ব্যক্তিগত সম্পদ, দেশের নয়।”