মহানগর ডেস্ক : উত্তরবঙ্গে একের পর এক বিপর্যয়। বিশেষত পাহাড়ে বিপদ ওত পেতে রয়েছে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে দেখা নেই বৃষ্টির। উল্টে বেড়েই চলেছে তাপমাত্রা। বইছে লু। দাবদাহে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। নাজেহাল পরিস্থিতি। এমতাবস্থায় দিন কয়েকের জন্য স্বস্তি পেতে পাহাড়ে যাওয়ার কথা ভানছেন অনেকেই। আবার অনেকেই ইতিমধ্যে পাহাড় থেকে ঘুরে এসেছেন। কিন্তু জানেন কি সিকিমের পরিস্থিতি মারাত্মক? ধস নেমে ব্যাহত যোগাযোগ ব্যবস্থা। রবিবার রাতে ধস নামে সিকিমের মঙ্গন এলাকায়। মঙ্গন থেকে ডিকচু যাওয়ার পথে এই ধস নেমেছে বলে খবর। এর জেরে রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পর্যটক সহ কোনও গাড়ি মঙ্গনের এই রাস্তায় চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে বেড়াতে গিয়ে অনেকেই পড়েছেন মহা বিপদে। ডিকচু এবং সিংতামগামী গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার পর রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে বহু সংখ্যক গাড়ি। ঘটনার পরেই রাস্তা থেকে পাথর সরানোর কাজে হাতে লাগায় স্থানীয় প্রশাসন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তলব করা হয় বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনকে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলেছে ধস সরানোর কাজ।
ধস সরিয়ে সোমবার স্বাভাবিকের পথে পরিস্থিতি।মঙ্গন পর্যন্ত রাস্তায় পাথরের চাঁই সরিয়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে রাস্তা পুনরায় চালু করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানানো হয়েছে। পর্যটকদের গাড়ি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর কন্টেনার এই পথেই যাতায়াত করে। ফলে দীর্ঘক্ষণ তা আটকে থাকলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। ধসের মধ্যে কোনও গাড়িকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে দেওয়া হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগেও বহুবার পাহাড়ে গিয়ে প্রাকৃতিক রোষের মুখে পড়েছেন পাহাড় প্রেমীরা। গত ৬ এপ্রিল থেং টানেলের কাছে একটি ধস নামে। এর জেরে চুংথাং থেকে মঙ্গন যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। উত্তর সিকিম যাওয়ার জন্য মূলত এই রাস্তা দিয়েই যায় পর্যটকদের গাড়িগুলি। ফলে বারবার এই মঙ্গনের রাস্তায় ধস নামায় বিপাকে পড়ছেন পর্যটকরা। নর্থ সিকিমে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা চুংথাং থেকে মঙ্গন হয়েই যায়। নর্থ সিকিমের এই অংশে যাওয়ার জন্য যে সমস্ত পর্যটকরা বেরিয়েছিলেন, প্রত্যেকেরই আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।