মহানগর ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে একাধিক রাজ্য সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্বোধন করছেন নানা প্রকল্পের। বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বারাণসীতে পৌঁছেছেন। সেখনে গিয়েই মধ্যরাতে বারাণসী হাইওয়ে দেখা গেল নমোকে। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
Yogi Adityanath.
যোগী আদিত্যনাথ ও রাম মন্দিরকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, গ্রেফতার ২
মহানগর ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তাঁর পরেই উদ্বোধন হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দির। সেজ উঠছে অযোধ্যা। সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়ে গিয়েছে। নিজে সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ২২ জানুয়ারি নিয়ে সকলের মধ্যে যখন রাম মন্দির নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে সেই সময়েই এল হুমকি। বোমা হামলায় উড়িয়ে দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং অযোধ্যার রাম মন্দিরকে। বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য বুধবার দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের একটি দল লখনউয়ের গোমতী নগরের বিভূতি খন্ড এলাকা থেকে তাহার সিং এবং ওমপ্রকাশ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে। একটি বিবৃতিতে এমনটাই বলা হয়ে্নতা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু’জন ব্যক্তি নভেম্বরে ‘এক্স’-এ ‘@iDevendraOffice’ হ্যান্ডেল ব্যবহার করে আদিত্যনাথ, এসটিএফ প্রধান অমিতাভ যশ এবং অযোধ্যার রাম মন্দিরকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ‘alamansarikhan608@gmail.com’ এবং ‘zubairkhanisi199@gmail.com’ এই ইমেলআইডি ব্যবহার করে হুমকি দেয়। ইমেল আইডিগুলির প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের পরে, এটি পাওয়া গেছে যে তাহার সিং ইমেল অ্যাকাউন্টগুলি তৈরি করেছিলেন এবং ওমপ্রকাশ মিশ্র হুমকি বার্তাগুলি পাঠিয়েছিলেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিং এবং মিশ্র দুজনেই গোন্ডার বাসিন্দা এবং একটি প্যারামেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে কাজ করেন। এসটিএফ বিষয়টি আরও তদন্ত করছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, হুমকিমূলক ইমেল আইডি তৈরি করতে এবং ইমেলগুলি পাঠানোর জন্য একটি Vivo T-2 মোবাইল ফোন এবং একটি Samsung Galaxy A-3 ব্যবহার করেছিল। একটি ওয়াই-ফাই রাউটার এবং সিসিটিভি ক্যামেরার একটি ডিভিআর (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার) যেখানে ইমেলগুলি পাঠানো হয়েছিল সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশের মতে, ইমেলগুলি জুবায়ের খান নামে এক ব্যক্তি দ্বারা লেখা হয়েছিল হয়েছিল, যিনি নিজেকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর একজন কর্মকর্তা বলে দাবি করেছিলেন। এসটিএফের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন প্রমেশ কুমার শুক্লার তত্ত্বাবধানে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।তিনি জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময়, গ্রেফতার অভিযুক্তরা প্রকাশ করেছে যে তারা দেবেন্দ্র তিওয়ারীর নির্দেশে কাজ করছিল, যারা ভারতীয় কিষান মঞ্চ এবং ভারতীয় গৌ সেবা পরিষদের নামে এনজিও চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, তিওয়ারি তাদের জাল ইমেল আইডি তৈরি করতে এবং হুমকিমূলক বার্তা পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ এবং রাজনৈতিক ভাবে সামনে আসার জন্য এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল।
মহানগর ডেস্ক: সাধু টিএল ভাসওয়ানির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকার আগামিকাল ২৫ নভেম্বর দিনটিকে ‘নো নন-ভেজ ডে’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। একটি সরকারী বিবৃতি অনুযায়ী, এদিন সমস্ত মাংসের দোকান এবং কসাইখানা রাজ্য জুড়ে বন্ধ থাকবে। উল্লেখ্য, সাধু থানওয়ারদাস লীলারাম ভাসওয়ানি ছিলেন একজন ভারতীয় শিক্ষাবিদ। যিনি শিক্ষায় মীরা আন্দোলন শুরু করেছিলেন এবং হায়দ্রাবাদ, সিন্ধুতে (বর্তমানে পাকিস্তানে) সেন্ট মিরা স্কুল স্থাপন করেছিলেন। পুনেতে তাঁর জীবন ও শিক্ষার জন্য নিবেদিত দর্শন জাদুঘর খোলা রয়েছে।
তাই ২৫ নভেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক ‘মাংসহীন দিবস’ হিসাবে স্বীকৃত করলেন আদিত্যনাথ যোগী সরকার। ইউপি সরকার রপ্তানির জন্য উৎপাদিত পণ্যগুলিকে অব্যাহতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবিলম্বে হালাল শংসাপত্র সহ খাদ্য পণ্যের উৎপাদন, সঞ্চয়, বিতরণ এবং বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ঘোষণা করার সময়, রাজ্য সরকার হালাল শংসাপত্রের অভাবের পণ্যগুলির ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করার জন্য “দূষিত প্রচেষ্টা” বলে অভিযোগ করেছেন। হালাল-প্রত্যয়িত পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞার পরে, ফুড সেফটি অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FSDA) খাদ্য সামগ্রী পরীক্ষা করার জন্য বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে।
২২ শে নভেম্বর, একটি FSDA দল উত্তরপ্রদেশের লখনউতে ফাস্ট ফুড জায়ান্ট ম্যাকডোনাল্ডের আউটলেটে হালাল-প্রত্যয়িত পণ্যগুলির উপর রাজ্য সরকারের সর্বশেষ ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসাবে একটি অভিযান পরিচালনা করছে৷ অভিযানের সময়, FSDA আধিকারিকরা বেশ কয়েকটি খাদ্য সামগ্রী পরীক্ষা করেছে। লখনউয়ের সাহারা মলেও অভিযান চালানো হয়েছিল যেখানে আটটি কোম্পানি হালাল-প্রত্যয়িত পণ্য বিক্রি করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এবং সেই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
যোগী আদিত্যনাথের ‘সিন্ধু’ মন্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে সমালোচনা পাকিস্তানের
মহানগর ডেস্ক: সোমবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে পাকিস্তান সরকার। সিন্ধু-দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশ ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তাঁর দায়িত্বজ্ঞান হীন মন্তব্য গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
রবিবার দুই দিনের জাতীয় সিন্ধি কনভেনশনে ভাষণ দিতে গিয়ে, আদিত্যনাথ বলেছেন যে, “শ্রী রাম জন্মভূমিকে যদি ৫০০ বছর পরে ফিরিয়ে নেওয়া যায় তবে আমরা পাকিস্তানে অবস্থিত সিন্ধু প্রদেশ ভারতে ফিরিয়ে আনতে পারে কোনো কারণ ছাড়াই।” এই বিষয়ে মিডিয়ার প্রশ্নের জবাবে, পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালোচ জানিয়েছেন যে, রাজনীতিকের এহেন উস্কানিমূলক মন্তব্য ‘অখন্ড ভারত’ (অবিভক্ত ভারত) এর অযৌক্তিক দাবি দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং ইতিহাসের একটি বিকৃত দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করছে। আমরা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর করা অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের নিন্দা জানাই।”
বেলুচ আরও বলেন যে, এটি একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় যে বিজেপি-আরএসএস তাঁদের বিভাজনমূলক এবং সংকীর্ণ রাজনৈতিক এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই জাতীয় ধারণাগুলি ক্রমবর্ধমানভাবে প্রচার চালাচ্ছে। ভারতকে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে বিরোধ মেটাতে হবে, একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে তাঁদের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
“জানি না সাধু কখন মুখ্যমন্ত্রী হবেন”, যোগীকে কটাক্ষ বিজেপি নেতা বরুণ গান্ধীর
মহানগর ডেস্ক: বিজেপি নেতা হলেও সর্বদা নিজের দলকে খোঁচা দিতে ব্যস্ত বরুন গান্ধী। বিজেপির বহু নেতাই তাঁর কাছে প্রায়সই কটাক্ষের শিকার হন। এবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করলেন পরোক্ষ ভাবে। একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত হয়ে এক “সাধু” কে বিরক্ত না করার নিদান দিলেন বরুন গান্ধী। তাঁর মতে, কোন দিন ওই সাধুই না মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যান, সেটা বলা যায় না। এই খোঁচা নিয়েই চলছে রাজনইতিক মহলের অন্দরে চর্চা।
সোমবার বরুন গান্ধী তাঁর নির্বাচনী এলাকা পিলিভীতে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই সময় সেখানে উপস্থিত এক সাধুর ফোন বেজে ওঠে। সাধুকে তা বন্ধ করতে বলেন উপস্থিত অন্যান্য বিজেপি কর্মীরা। সেই সময় বিজেপি সাংসদ বরুন গান্ধী দলীয় কর্মীদের বাধা দেন, যাতে ওই সাধুকে তাঁরা বিরক্ত না করে। এর পরেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন বরুন গান্ধী। রসিকতা করে বলেন, “দয়া করে অনেক থামাবেন না, কখন যে ‘মহারাজ জি’ মুখ্যমন্ত্রী হবেন জানেন না। তাহলে আমাদের কী হবে?” এভাবেই রসিকতা করে হলেও যোগী আদিত্যনাথকেই যে তিনি বিঁধলেন , সেটা বুঝতে বাকি নেই কারও।
প্রসঙ্গত, ইন্দিরা গান্ধীর নাতি বরুণের সঙ্গে ইদানিং দূরত্ব তৈরি হয়েছে বিজেপি। মাঝে মাঝেই তিনি ‘বেসুরো’ হয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। কৃষক ইস্যুতে তিনি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হলো না। সম্প্রতি ওই ঘটনার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেই যে কটাক্ষ করেছেন বরুন, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। আদিত্যনাথয গোরক্ষপীঠের গোরক্ষপীঠধীশ্বরও। আবার সবসময় সাধুর পোশাকে থাকেন তিনি।