মহাগর ডেস্ক : আগের থেকে দাম বেড়েছে ওষুধের। আট থেকে আশি পড়েছে সমস্যায়। ইলেক্টোরাল বন্ড মারফত টাকা তোলার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বেড়েছে বলেই দাবি বিজেপি বিরোধী দলগুলোর। এবার প্রচারের মাঝে এক বৃদ্ধের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। সোমবার বর্ধমান শহরের কালীবাজার এলাকায় চা-চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বর্ধমান শহরেরই শাঁখারীপুকুর এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী বিষ্টু সরকার ক্রমাগত ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করেন দিলীপ ঘোষকে। জবাব দিতে ছাড়লেন না দিলীপও।
বৃদ্ধ নাগরিক সরাসরি দিলীপকে বলেন, ”ইলেকট্ররাল বন্ডের জন্য ওষুধের দাম বাড়ছে। আপনারা ইলেকট্ররাল বন্ড নিচ্ছেন, তাই দাম বাড়ছে ওষুধের। আমার তিন হাজার টাকার মতো ওষুধ লাগে। পেপারে দেখাচ্ছে আপনারা ইলেকট্রল বন্ড নিচ্ছেন তার জন্য ওষুধের দাম বাড়ছে। আমার তিন হাজার টাকার জায়গায় ৩৫০০ টাকা লাগছে।”
চুপ করে শোনার পাত্র নন দিলীপ ঘোষও। তিনি পাল্টা বলেন, ”ওরা বলছে আপনি বিশ্বাস করেন। ওরাও নিয়েছে বন্ড, যারা বলছে।” এরপরই বৃদ্ধ বলেন, ”সিপিএমই তো মামলা করল। ওরা তো টাকা নেয় নি।” বামেদের প্রসঙ্গ উঠতেই কিছুটা মেজাজ হারান বিজেপি নেতা। বলেন, ”এর সঙ্গে ওষুধের কি সম্পর্ক? মোদিজী জন-ঔষুধী দোকান দিয়েছে। সেখানে ৯০% ডিসকাউন্ট। সেখান থেকে ওষুধ কিনুন। আপনি খোঁজ রাখুন।” বৃদ্ধের দাবি, ”কোথায় ডিসকাউন্ট? আমরা তো কিনতে যাই। আমাদের তো ১৫ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দেয়। প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে।” এভাবেই দুজনে বচসায় জড়ান। দিলীপ ঘোষ পাল্টা প্রশ্ন করেন,
”আপনার বয়স কত? তখন কত দাম ছিল?’ উত্তর আসে – ১৪ সালে এত দাম ছিল না। ফ্রিতে চাল পাচ্ছেন, ডাল পাচ্ছেন, গ্যাস পাচ্ছেন। বিনামূল্যে ৮০ কোটি লোক চাল পাচ্ছে। অনেক দিয়েছেন আপনারা। আমি জানি আপনি কি বলতে চাইছেন। দেখলে বোঝা যায়। বাংলাকে শ্মশান করেছেন আপনারা।” বৃদ্ধ বলেন,”উনি আমাকে বলছেন আমি নাকি সিপিএমের লোক। এটা কেন বলবেন? আমি তো ভোটার হিসেবে ওঁকে প্রশ্ন করতেই পারি! উনি তো উত্তর দিতে বাধ্য।’ বৃদ্ধ আরও জানান, আমার মেয়ে লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু, ওঁরা বছরে ২ কোটি চাকরি দেবেন বলেও দেননি।” প্রার্থীর কাছ থেকে আদৌ কোনও সদুত্তর পাননি বলে জানালেন দুর্গাপুরের বৃদ্ধ নাগরিক। শেষে, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে করমর্দন করে প্রস্থান করেন সেই বৃদ্ধ।