মহানগর ডেস্ক : লোকসভানির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেমন একদিকে জোরকদমে চলছে শাসক-বিরোধীদের প্রচার, অন্যদিকে, জায়গায় জায়গায় ঘটছে অশান্তির ঘটনা। রবিবাসরীয় প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সেনপুকুর এলাকায় লকেটের গাড়ি দেখে ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। গত ৫ বছরে এলাকায় সাংসদকে দেখতে না পাওয়ার অভিযোগে ওঠে স্লোগানের ঝড়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি তেঁতে ওঠে। গোটা ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির। হুগলি লোকসভার বিজেপি কনভেনার সুবীর নাগ এই ঘটনায় জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানিয়েছন।
Amidst the Kali Puja celebrations in Bansberia, TMC-backed miscreants, led by Bansberia Municipality’s Vice Chairman Shilpi Chatterjee, targeted BJP candidate @me_locket‘s car in Hooghly.
This attack is part of TMC’s widespread violence against BJP in Hooghly and West Bengal.… pic.twitter.com/HrEUuATJy7
— BJP West Bengal (@BJP4Bengal) April 6, 2024
উক্ত ঘটনায় বাঁশবাড়িয়ার উপ পুর প্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, কিছু লোক কালো পতাকা নিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছিল। তাঁদেরকে সরাতে গেলে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন। তাঁর হাতে আঘাত লাগে। এদিকে তৃণমূলের মাফিয়ারাজের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন লকেট। তার কথায়, আজ বাঁশবেড়িয়াতে কালী পুজোয় অংশ নিতে যাওয়ার সময় বাঁশবেড়িয়ার তৃণমূলের নেত্রী এবং ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তার গাড়ির উপর হামলা করে।তিনি অভিযোগ করেন, আমি বারংবার বলেছি গোটা হুগলি জুড়ে তৃণমূল ‘মাফিয়ারাজ’ কায়েম করেছে। তাই আজ আমাকে মায়ের পুজোতে যেতে বাধা দিল তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীরা। তাঁর কথায়, যেখানে প্রার্থীর সুরক্ষা নেই সেখানে সাধারণ ভোটারদের অবস্থা সম্পর্কে সকলেই বুঝতে পারছেন। হুগলিতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এবং ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে তার জন্য সমস্ত মাফিয়াদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি তাঁর।
অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে থাকায় পাল্টা জবাব দিয়েছেন গলি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরিন্দম গুইন। তার কথায়, ”তৃণমূল কংগ্রেসের দরকার পড়ে না কাউকে কালো পতাকা দেখানোর। সাধারণ মানুষের সমর্থন আছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। তৃণমূল প্রার্থী যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই সাধারণ মানুষের ঢল তাই সেটা দেখে তিনি ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। তাই তিনি ভাবছেন তৃণমূল কংগ্রেস এই কাণ্ড করাচ্ছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোন এই ঘটনার যোগাযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না।”