মহানগর ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে কি পঞ্চায়েত ভোটের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে? এই প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের আচরণে। তৃণমূল প্রচারে বাধা দিচ্ছে বিরোধীদের। তবে বিজেপির চাইতে বেশি বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বাম,কংগ্রেসকে। হুগলির বিজেপি রাথী বিরাট শোভাযাত্রা করে যখন জেলা শাসকের দফতরে পুলিশি সহযোগিতায় মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিলেন তখন বাম প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার মিছিল জেলা শাসকের দফতরে ঢোকার মুখে আটকে দিল পুলিন। শুধু পুলিশই নয়, বিজেপি ও বাম প্রাথীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার মিছিলকে বাধা দিল তৃণমূল।
সোমবার এই একই ঘটনা ঘটেছে বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী সজল ঘোষের সঙ্গে। তাঁকে প্রচারে বাধা দেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ নেতা চিরঞ্জীব বিশ্বাস। অন্যদিকে বসিরহাটের বিজেপি প্রাথী রেখা পাত্রকে প্রচারে বেরিয়ে পড়তে হল তৃণমূলীদের প্রবল বাধার মুখে। একই ঘটনা ঘটেছে বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে। তাঁকেও একাধিকবার প্রচারে বাধা দিয়েছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি দুদিন আগে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর ব্যানার ও ফেস্টুন লাগাতে গিয়ে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হন দক্ষিণ কলকাতা বিজেপির মন্ডল সভানেত্রী সরস্বতী সরকার। তাঁর উপর আক্রমণের প্রতিবাদে আনন্দপুর থানার সামনে অবস্থান করেন দেবশ্রী চৌধুরী, তারপর পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলে আনন্দপুর থানা অবরোধ তুলে নেন দক্ষিণ করকাতার বিজেপি প্রার্থী।
এই ঘটনা যদি রাজ্যের শাসক তৃণমূলের প্রার্থীদের সঙ্গে বিজেপি বা বামেরা করে, তাহলে কি সেটা গণতান্ত্রিক ভাবে মানবে তৃণমূল? এটা কোন রাজনৈতিক সংস্কৃতির উদাহরণ তৃণমূল তৈরি করছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল।
রাজনৈতিক অভিজ্ঞদের মতে ঠিক একই কায়দায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ভোট জয়ের সার্টিফিকের নিতে যাওয়া, সব ক্ষেত্রে তৃণমূল বাধা সৃষ্টি করেছে, মারধর করেছে। এর পিছনে ছিল এজটাই লক্ষ্য, তা হল ভোটার ও বিরোধীদের ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা। ঠিক সেই একই কায়দায় লোকসভা নির্বাচনেও ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বিরোধীরা বলছেন, লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে, তাহলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কি ভূমিকা নিচ্ছে বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায়?