মহানগর ডেস্ক : কাঞ্চন মল্লিককে হুড খোলা জিপ থেকে সোজা নামিয়ে দিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের কোন্নগর নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে ভোট প্রচারে জন্য হুড খোলা জিপে উঠে যথারীতি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে দেখা গেল কল্যাণ কাঞ্চনকে সেই হুড খোলা প্রচার শকট থেকে নামিয়ে দিলেন। কাঞ্চন মল্লিক গাড়ি থেকে নেমে দলীয় কর্মীর বাইকে করে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান।
পরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “উনি মনক্ষুণ্ণ হয়েছেন কি হননি আমি জানি না।আমি ওঁকে নিয়ে আগেও প্রচার করেছি। কিন্তু উনি আমার সঙ্গে যখন প্রচারে বের হচ্ছেন গ্রামের মহিলারা কিন্তু ভীষণ রিঅ্যাক্ট করছে। আমি ওঁকে আগেই বলে দিয়েছিলাম গ্রামে এসো না। আর আমার সঙ্গে প্রচারে শুধু কেন থাকছে? ও একজন বিধায়ক, সে তো নিজেও প্রচার করতে পারে। তাতো করছে না। আমি নির্বাচনে লড়ছি। মানুষের মন তো বুঝতে হবে। আমি ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়, আমি সমষ্টিগত মানুষের জন্য। আমি সমষ্টিগত মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না। কোনও ব্যক্তি বিশেষের আনন্দ বা সুখের জন্য।”
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আচরণ ও বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গেল উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের পুত্র ও স্ত্রীকে ত্যাগ করে নতুন করে বিয়ে করার ঘটনা তিনি মেনে নিতে পারছেন না। কাঞ্চনের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিজেপি বিরূপ প্রচার ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে। এটা খাতায় কলমে কাঞ্চন মল্লিকের তৃতীয় বিয়ে। ৫৩ বছরের উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ককে তাঁর বিধানসভা এলাকায় দেখা যায় না বলে ক্ষোভ রয়েছে উত্তরপাড়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর তাই হয়তো কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “ও নিজের বিধানসভায় গিয়ে প্রচার করুক না। আমার এখানে কেন?”
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য প্রণয় রায় আগেই বলেছেন, বিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা জন্ম জন্মান্তরের বন্ধন। আর এখানে বিধায়ক একজন সঙ্গীকে বেছে নিয়েছেন, ৫ বছর পর হয়ত আরও এক সঙ্গীকে বেছে নেবেন। এই দলের সংস্কৃতিই হয়ত এটা। কাঞ্চনের প্রসঙ্গে, “রাত ১২ টায় পার্টি অফিসে ডাকার” অভিযোগের কথাও উল্লেখ করেছেন এই বিজেপি নেতা।
তবে কি এই সব কিছুর থেকে নিজের কেন্দ্রকে বাঁচাতেই কাঞ্চনকে প্রচারের হুড খোলা জিপ থেকে নামিয়ে দিলেন কল্যাণ, যে ঘটনা এক কথায় নজিরবিহীন!