পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এক নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, “উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার্থী যদি ধরা পড়ে তাহলে সেই পরীক্ষার্থী এই বছর আর কোনও পরীক্ষাই দেওয়ার সুযোগ পাবে না। পাশাপাশি, পরীক্ষার হলে বসে উত্তর আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও একই রকম ভাবে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি, পরীক্ষার হলে সেন্টার সেক্রেটারি, সেন্টার-ইন-চার্জ, ভেন্যু সুপারভাইজ়ার এবং কাউন্সিল নমিনিদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। অর্থাৎ তাঁরাও পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না।”
প্রসঙ্গত মাধ্যমিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মোবাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া এবং হলে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার্থীদের আটকাতে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পারেনি। তার ফলে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে সংসদ যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে এই ব্যবস্থা নিল বলে সংসদ সূত্রে জানানো হয়েছে।
সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে সংসদ চিহ্নিত সংবেদনশীল পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে এবার মেটাল ডিটেক্টর রাখা হচ্ছে। এ ছাড়াও যাঁরা পরীক্ষার হলে নজরদারি করবেন, তাঁরাও কড়া নজর রাখবেন পুরো পরীক্ষা ব্যবস্থার উপর। তাই কোনও পরীক্ষার্থী যদি মেটাল ডিটেক্টরকে ফাঁকি দিয়ে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকে যায়, তখন যাতে কর্তব্যরত আধিকারিকের নজর সেই পরীক্ষার্থী এড়াতে না পারে তাই ইনভিজিলেটররাও কড়া নজরদারি চালাবেন।