মহানগর ডেস্ক: হঠাৎ করেই বাতিল করা হচ্ছে আধার কার্ড। এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে উত্তাপের আবহে এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে ভারতের স্বতন্ত্র সনাক্তকরণ কর্তৃপক্ষ (UIDAI) রেগুলেশন ২৮এর অধীনে আধার কার্ডগুলি নিষ্ক্রিয় করেছে। লিঙ্ক বাতিল করার জন্য রেশন বিতরণ এবং ব্যাঙ্কিংয়ের মতো পরিষেবাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যা একাধিক ব্যক্তির বহু সমস্যার সৃষ্টি করেছে।
ইতিমধ্যেই জামালপুর ব্লকের জৌগ্রাম, আবুজহাটি এলাকায় প্রায় ৬০ জনের কাছে পোস্টঅফিসের মাধ্যমে ‘ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (UIDAI) রাঁচির আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এই ব্লকের আবুজহাটি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জুহিহাটি গ্রামের প্রায় ৫০ জন এমন চিঠি পেয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে, আধার বাতিল বা ডিঅ্যাক্টিভ হলে আতঙ্কের কিছু নেই। এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে যদি কারো আধার কার্ড বাতিল বা নিষ্ক্রিয় করা হয়, তবে ওই ব্যক্তি পরিস্থিতি সংশোধন করতে তারা কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। UIDAI ব্যক্তিদের আধার সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার জন্য টোল-ফ্রি নম্বর ১৯৪৭-এ কল করার পরামর্শ দিয়েছে। উপরন্তু, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নাগরিকত্বের প্রমাণ প্রদান এবং তাদের বাড়ির ঠিকানা যাচাই সহ তাদের আধার তথ্য আপডেট করতে তাদের নিকটস্থ আধার সংশোধন বা তালিকাভুক্তি কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। একবার এই তথ্য যাচাই হয়ে গেলে, আধার কার্ড পুনরায় সক্রিয় করা যেতে পারে।
জানিয়ে রাখা ভাল, যারা এই ধরনের চিঠি পান তাদের জন্য অবিলম্বে কাজ করা এবং সমস্যা সমাধানের জন্য UIDAI দ্বারা প্রদত্ত নির্দেশাবলী অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লিঙ্ক বালিতের চিঠি স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগজনক হতে পারে তবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে এবং আধার কার্ড পুনরায় সক্রিয় করার জন্য পদক্ষেপ রয়েছে৷ গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমার কাছে খবর আছে অনেকের আধার কার্ড লিংক কাটা হয়েছে। জামালপুরে ৫০ জনের, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তরবঙ্গেও কাটা হচ্ছে। প্রথমে বলবে আধার না হলে তুমি চোখে দেখবে আঁধার। তোমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হবে না। কোন অধিকারে কাউকে না জিজ্ঞাসা করে তার আধার লিঙ্ক কেটে দিচ্ছো? লজ্জা করে না?”