মহানগর ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের আবহে বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের। নেতা মন্ত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আনা হচ্ছে বদল। কোনও মন্ত্রী বা নেতাদের দেহরক্ষী হিসাবে দীর্ঘদিন কোনও পুলিশকর্মীকে থাকতে দেখা যায়। এবার সেই সিদ্ধান্তে বদল আনতে চলেছে নবান্ন। সুতরাং এখন থেকে নেতা মন্ত্রীদের দেহরক্ষী নানা সময়ে পাল্টে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলার নেতা মন্ত্রীদের দেহরক্ষী হিসাবে কোনও পুলিশ কর্তাকে দীর্ঘদিন দায়িত্বে রেখে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনর মরশুমে জোর কদমে চলছে প্রচার। প্রার্থীদের সঙ্গে প্রচারে তারকা প্রচারক হিসেবে সঙ্গ দিচ্ছেন নেতা-মন্ত্রীরা। তাঁদের দেহরক্ষীরাও সঙ্গে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে এই দেহরক্ষীতে বদল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। নয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, কনস্টেবল থেকে পদোন্নতি পেয়ে কেউ কেউ এএসআই হন। তাঁরাই পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার বা পিএসও হন। এবার তাঁদেরকেই ওই দায়িত্ব থেকে সরানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের অন্যান্য ডিউটি করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই বিষয়টি নবান্নের পক্ষ থেকে অনুমতি মিললেই কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল মণ্ডল গরুপাচার মামলায় জেলবন্দি। তাদের ঠিকানা এখন তিহার জেল। এবার তাই রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী বিধায়কদের দায়িত্বে থাকা পিএসওদের খোঁজ শুরু হয়েছে। দুর্নীতি থেকে তাদের দূরে রাখতে কড়া নজরদারি চালাবে নবান্ন। নেতা-মন্ত্রীদের নাম যাতে আর কোনো দুর্নীতির সঙ্গে না জড়ায়, দেহরক্ষীরাও যাতে কোনোরকমভাবে সুযোগ নিয়ে অনৈতিক কাজ কর্ম করতে না পারে তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।