ওয়েব ডেস্ক : যুবভারতী ক্রিড়াঙ্গনে মুম্বাই কে হারিয়ে লিগ শিল্ড জিতে আবার সেই মাঠেই ফাইনালে মুম্বাই এর মুখোমুখি মোহনবাগান সুপার জায়েন্টস। আগের বারের বিজয়ী দল মোহনবাগান এবার ও লিগ শিল্ড জিতে ট্রফি জেতার ক্ষেত্রে অন্যতম ফেরারিট বলেই বিবেচিত ছিলো ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে। কানায় কানায় ভর্তি যুবভারতীতে কিন্তু খেলার শুরু তে স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারেনি হাবাসের ছেলেরা।
প্রথম অর্ধের প্রথম ১৫-১৮ মিনিট বল পজিশন ৫০-৫০ থাকলেও তারপর থেকেই পর পর আক্রমণ শানায় মুম্বাই সিটি এফ সি। প্রায় টানা ২০ মিনিট মোহনবাগানের ছন্দহীন ফুটবল, মিসপাস ও বোঝাপড়ার অভাবে বল ছিলো পুরো মোহনবাগানের বক্সের আসে পাশেই। পর পর দুবার ভাগ্যক্রমে বার পোস্টে লেগে বল ফেরৎ আসায় গোল হজম করতে হয়নি সবুজ মেরুন ব্রিগেড কে। তারপর ই একটা লম্বা পাসে বল পায় পেট্রাটোস এবং সরাসরি জোরালো শট মুম্বাই গোলকিপার প্রতিহত করলেও ফিরতি বলে হাল্কা টাচে জালে বল জড়িয়ে দেন জেসন কমিন্স। ৪৪ মিনিটের মাথায় ১ গোলে এগিয়ে খেলার ছন্দে ফেরে মোহন বাগান। সেমিফাইনালে ঠিক এভাবেই পেট্রেটোসের জোড়ালো শট গোলকিপারের হাতে গেলে ফেরৎ যাওয়ার পর সেই বল ই এক ই ভাবে জালে জড়িয়েছিলেন কামিন্স।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম থেকেই খেলার রাশ ধরতে চেষ্টা করেছিলো মোহনবাগান কিন্তু ৫৫ মিনিটের মাথায় ডিফেন্সে তালমিল না থাকার মাশুল দিতে হলো মোহনবাগানকে। পেরেরা ডিয়াজের গোলে দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মধ্যেই সমরা ফেরায় মুম্বাই সিটি। তারপর দুই দল ই পর পর আক্রমণ শানাতে থাকে। ফাইনালে জয়ের জন্য মরিয়া ঝাঁপ দেয় দুই দল ই। চোটের জন্য মাঠ ছাড়েন মুম্বাই এর গোলদাতা ডিয়াজ ও জয়েশ রানে। এর পর পরিবর্তিত হিসাবে নেমে ৮১ মিনিটে গোল করে মুম্বাই কে ২-১ এ এগিয়ে দেয় বিপিন সিং। মোহনবাগানের বক্সের মধ্যে কার্যত অরিক্ষিত হিসাবে দাঁড়িয়ে থেকে সহজে মুম্বাই কে এগিয়ে দেয় বিপিন। মোহনবাগান দলের ছন্দছাড়া ডিফেন্সের ফলে সহজে ১ গোলে পিছিয়ে থেকেও ২-১ গোলে লিড নেয় মুম্বাই। এর পর পরপর আক্রমণ করলেও লাভ হয়নি মোহনবাগানের। শেষ মুহুর্তে ৯৭ মিনিটে য়াকুবের গোলে ৩-১ এ আই এস এল এর ট্রফি জিতে নেয় মুম্বাই সিটি এফ সি। সর্বোপরি ঘরের মাঠে জঘন্য ডিফেন্সের খেসারত দিয়ে ট্রফি হাতছাড়া হলো সবুজ মেরুন ব্রিগেডের।