মহানগর ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে চিনের নয়া ম্যাপ।যেখানে প্রতিবেশী দেশের বিভিন্ন এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করেছে তারা।কিন্তু এশিয়ার আরও চার দেশ সেই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করল।শুধু ভারতই নয়, ভুক্তভোগী তারাও।ভারতের পথে হেঁটে ফিলিপিন্স সরকারও চিনের ওই ‘স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপের’ কড়া নিন্দা করেছে। ওই মানচিত্রে পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরের বেশ কিছু অংশকেও চিনের অন্তর্ভুক্ত করে দেখানো হয়েছে।
সেই দেশের বিদেশ বিষয়ক মুখপাত্র মা তেরেসিতা দাজা বলেছেন, “ফিলিপিন্সের সামুদ্রিক অঞ্চলগুলির উপর চিন তার আধিপত্য বিস্তার করচে চাইছে। ১৯৮২ সালের রাষ্ট্রপুঞ্জের কনভেনশন অনুযায়ী, এর কোনও ভিত্তি নেই।” চিন এর আগে ২০১৩ সালেও একটি মানচিত্রে ফিলিপিন্সের কালায়ান দ্বীপ এবং স্প্র্যাটলিসের কিছু অংশও তাদের বলে দেখিয়েছিল।
ভিয়েতনাম সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “চিনের নতুন মানচিত্রে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হয়েছে। স্প্র্যাটলি ও পারাসেল দ্বীপের এলাকাগুলি নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন। এছাড়াও জলভাগের বেশ কিছুটা এলাকাও মানচিত্রে চিনের অন্তর্ভুক্ত বলে দেখানো হয়েছে। চিনের এই দাবি একেবার অবৈধ।”ভিয়েতনাম সরকার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে দক্ষিণ চিন সাগর সংলগ্ন এলাকায় চিনা আধিপত্য একেবারে মেনে নেওয়া হবে না।
ক্ষুব্ধ হয়েছে মালয়েশিয়া সরকারও।চিন যেভাবে তাদের মানচিত্রে দক্ষিণ চিন সাগরের এলাকাগুলি নিজেদের বলে অন্তর্ভুক্ত করেছে, সরকারিভাবে তার প্রতিবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।চিন দাবি করেছে,তাইওয়ানের পুরো দ্বীপটিই তাদের অংশ।
মালয়েশিয়া সরকার নিজেদের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, “চিন কখনওই তাইওয়ান শাসন করেনি। বরাবরই জোর করে তাইওয়ানের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে চেয়েছে। তাইওয়ানের বহু এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করে আগ্রাসনের চেষ্টা করে চিন। এই আগ্রাসন মেনে নেবে না মালয়েশিয়া।”