মহানগর ডেস্ক: নাম সন্দেশখালি হলেও বর্তমানে এলাকা একেবারেই তেতো হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছে। শুক্রবার সন্দেশখালিতে আগুন জ্বলেছে। জেলিয়াখালি তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্ম, বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় স্থানীয় জনতা। ওই দিন সকাল থেকেই গণরোষে অগ্নিগর্ভ জেলিয়াখালিতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় জনতা। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
শনিবার আর শুক্রবারের পরিস্থিতি নেই। বন্ধ হয়েছে দোকানপাট। স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকা একেবারেই শুনশান। এতটা শান্ত বোধহয় বিগত কয়েকদিনে দেখেনি এলাকার মানুষ। জেহারে উত্তেজনা বৃদ্ধি হচ্ছিল তাতে এই ১৪৪ ধারা জারির পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। জানা যাচ্ছে, সন্দেশখালি ১ এবং ২ এলাকা জুড়ে মোট ১৬ টি পঞ্চায়েত জুড়ে এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সন্দেশখালিতে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।
বৃহস্পতিবার ঘটনার পর পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও শুক্রবার রাতেই সন্দেশখালি গিয়েছেন। পুলিশ রুটমার্চ শুরু করেছে। নতুন করে এলাকা যাতে অশান্ত না হয় সেই কারণে টহলদারি চলছে। গতকালের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সমস্ত দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন।