মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালি ইস্যুতে এবার জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে ফের একবার সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। শুক্রবার সকালে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, জাতীয় মহিলা কমিশেনর চেয়ার পার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস।
শশী পাঁজা বলেন, “জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান হবে। কারণ তিনি রাজনৈতিক সিগন্যাল পেয়েছিলেন বলে এখানে এসে বিষয়টিকে উৎসাহিত করেছিলেন। একটি কমিশনের এই পক্ষপাতিত্ব খুবই দুর্ভাগ্যজনক।” শশী পাঁজার অভিযোগ, সন্দেশখালির ঘটনায় সময় রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব নিয়ে বিভিন্ন কমিশনগুলিকে আসতে দেখা গিয়েছে। শশীর আরও দাবি, গতকালও এক মহিলা জানিয়েছেন যে, দিল্লি থেকে মহিলা কমিশন এসে জোর করে অভিযোগ লিখিয়েছে। এক্ষেত্রে শশী পাঁজার দাবি, সন্দেশখালির মহিলাদের দিয়ে নির্যাতন হয়েছে বলে জোর করে লেখান হয়েছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তথা ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান শশী পাঁজা। আর এবার তৃণমূল জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে।
কিছুদিন আগে প্রথমে সন্দেশখালি সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি মহানগর 24X7। আর সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূল। এরই মাঝে মিতা মাইতি নামে এক মহিলা দাবি করেন, ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণই মিথ্যা। ওই মহিলা আরও জানান, রেখা শর্মা যেদিন এসেছিলেন, সেদিন কার কার অভিযোগ রয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়। একটা সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। সই করার ৪ থেকে ৫ দিন পর থানা থেকে একটি নোটিশ যায় তাঁদের কাছে। তখন তিনি জানতে পারেন যে তিনি নাকি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেই ওই মহিল দাবি করেন।
এদিকে এই ঘটনায় পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি দাস নামের এক বিজেপি নেত্রীর নাম সামনে এসেছে। এবার সেই মাম্পিকেই ডেকে পাঠাল সন্দেশখালি থানার পুলিশ। তবে বৃহস্পতিবার অবশ্য বারাসাতের জেলা শাসকের দফতরে মনোনয়ন পেশ করতে আসা দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে দেখা যায় মাম্পিকে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকারও করেছেন এই বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশে যেহেতু এফআইআর করা যাবে না বলে নির্দেশ আছে,তাই পুলিশ কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।