মহানগর ডেস্ক : একদিকে যখন চাতকের মতো বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুণছে শহরবাসী, অন্যদিকে তখন ধস নেমে যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে অসমের বরাক উপত্য়কা, ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরামের একাংশে।প্রচন্ড বৃষ্টির জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আবহাওয়া দফতরের তরফে এনিয়ে বড় সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে আগামী ১১ মে পর্যন্ত অসম ও প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে বজ্র বিদ্যুৎ সহ প্রচন্ড বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বর্তমান এই পরিস্থিতির জেরে আগামী দিনে সমস্য়া আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার দরুণ বরপেটা জেলায় ৬০ বছর বয়সি এক মহিলা ও তাঁর ২০ বছর বয়সি কন্যা বাজ পড়ে মারা গিয়েছেন। অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি রবিবার যে ফ্লাড রিপোর্ট জারি করেছিল তাতে বলা হয়েছিল কোনও নদী বিপদসীমার উপর বইছে না কিন্তু ফোর্সকে রেডি রাখার জন্য় বলা হয়েছে। এদিকে কলকাতায় এদিন সকালে চড়া রোদ বের হলেও বেলার দিকে হাওয়া বইতে থাকে। কিছুটা মেঘলা ছিল আবহাওয়া। তবে গরম রয়েছে ভালোই।
কাছারের ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার রোহন কুমার ঝা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত খাবার ও জ্বালানি রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ধসের জেরে রাস্তা ও রেল যোগাযোগ কিছুটা বিপর্যস্ত হয়েছিল। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।