মহানগর ডেস্ক: মানুষ স্বপ্ন দেখে। আশায় থাকে একদিন তার স্বপ্ন সফল হবেই। কিন্তু সবসময়ই তা হয় না। বরং উল্টে সেই স্বপ্ন নানা কারণে বিভীষিকা আর দুঃস্বপ্নে পর্যবসিত হয়। ঠিক এমনটা ঘটেছিল আমেরিকায় বছর কুড়ির এক ভারতীয় ছাত্রের বরাতে। সে স্বপ্ন দেখেছিল আমেরিকার ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করবে। আমেরিকায় ভাগ্নের কাছে গিয়েছিল সে। কিন্তু সেখানে গিয়ে অকথ্য অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে বাথরুমেও যেতে দেওয়া হয়নি। জোর করে শ্রমিকের কাজ করানো হয়। মাসের পর মাস ধরে চলে এমন অকথ্য অত্যাচার।
তবে অপকর্মে শুধু ভাগ্নেই নয়, তার দুজন সঙ্গী ছিল। আর শ্রমিকের মতো কাজ করানো হতো টানা অনেক ঘণ্টা ধরে। অত্যাচারে অতিষ্ঠ তার মরীয়া অবস্থার খবর পেয়ে পাশের এক প্রতিবেশি ৯১১-য় ফোন করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে সেন্ট চার্লস কাউন্টির গ্রামীণ এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে পরে ভেঙ্কটেশ পেনুমেচা ও নিখিল ভার্মা পেনমাস্তাকে গত গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে মানুষ পাচার. অপহরণ ও নিগ্রহের অভিযোগ আনে। ছাত্রের ওপর অমানবিক অত্যাচারের কলকাঠি নাড়ে তারই আত্মীয় বলে জানা যায়। বর্তমানে ছাত্রটি নিরাপদে রয়েছে এবং সুস্থ বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। বেদম মারের চোটে অনেক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সারা দেশেই রয়েছে অকথ্য অত্যাচারের চিহ্ন। দীর্ঘ সাতমাস ছাত্রটিকে তিনজন একটি বেসমেন্টে তালা লাগিয়ে রাখে। এবড়োখেবড়ো ভাঙা মেঝেয় মাসের পর মাস ঘুমোতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগে জানানো হয়।
তাকে পিভিসি পাইপ, বিদ্যুতের তার, ধাতুর ডান্ডা, লাঠি, জলের হোসপাইপ থেকে শুরু করে যা পাওয়া যেতো, তা দিয়ে রোজ বেধড়ক মারা হতো বলে জানা গিয়েছে। কাছাকাছি রেস্তোরাঁয় ডাস্টবিন থেকে ফেলে দেওয়া খাবার ছাত্রটি খেতো। আদালতে এমনটাই জানিয়েছেন সরকারি প্রসিকিউটার। দলের পাণ্ডা ছিল সাট্টারু বলে জানা গিয়েছে। সাট্টারুর বিরুদ্ধে বাড়তি হিসেবে মানব পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।