মহানগর ডেস্ক: সক্রিয় রাজনীতিতে কখনও দেখা না গেলেও একাধিক বার রাজনীতি প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। তাঁকে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করা হয় তার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কারেও, অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি শীঘ্রই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে চান কিনা। এই প্রশ্নেই কঙ্গনা হেসেছেন এবং জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে তাঁর কি ইচ্ছা রয়েছে।
আসছে কঙ্গনা রানাউত অভিনীত সিনেমা ‘এমার্জেন্সি’। নিজেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে দেখতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরে কঙ্গনা বলেছেন, “আমি শুধু এমার্জেন্সি নামে একটি ফিল্ম করেছি। সেই মুভিটি দেখার পর, কেউ আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইবে না।” ‘রাজাকার: সাইলেন্ট জেনোসাইড অফ হায়দরাবাদ’ সিনেমার ট্রেলার লঞ্চে হাজির হয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন বলি কুইন। বলা ভাল, এই প্রশ্নের যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে কারণ ২০২৩ সালের নভেম্বরে অযোধ্যায় গিয়ে কঙ্গনা রানাউত জানিয়েছিলেন, ‘কৃষ্ণের আশীর্বাদ থাকলে লোকসভায় লড়ব’। শুধু কি তাই এর আগে একাধিকবার তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা। অভিনেত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ‘আধুনিক ভারতের বিশ্বকর্মা’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন। তার থেকেও বড় বিষয় হল ২০২০ সালে বিএমসির সঙ্গে আইনি জটিলতার পর তাঁকে মোদি সরকারের তরফে Y+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। তবে কয়েক মাস আগেই কঙ্গনা বলেছিলেন, ‘আমি একজন রাজনীতিবিদ হতে চাই’ এটা তাঁর জন্য একটি ‘অশ্লীল চিন্তা’। তিনি বলেছিলেন, ” আপনারা যদি বলেন, ‘আমি একজন রাজনীতিবিদ হতে চাই’, এটি একটি অশ্লীল চিন্তা। আপনার নিজের কথা বলা উচিত নয়, জনসাধারণকে এটি বলা উচিত। ক্ষমতায় যারা আছেন, যারা এসব নিয়ন্ত্রণ করছেন, তাদেরই এই কথা বলা উচিত। আমি এই সম্পর্কে কি মনে হয় অপ্রাসঙ্গিক. এটা জনগণের সিদ্ধান্তের ব্যাপার এবং যারা ক্ষমতায় থাকবেন তারা আমাকে সুযোগ দেবেন। আমি এই সিদ্ধান্ত তাদের উপর ছেড়ে দেব।”
প্রসঙ্গত, কঙ্গনা রানাউতের জরুরি অবস্থা একটি রাজনৈতিক ছবি এমার্জেন্সি -তে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন। তাঁকে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে দেখা যাবে। এই সিনেমাটি পরিচালনাও করছেন কঙ্গনা। ছবিতে আরও জারা অভিনয় করেছেন তাঁরা হলেন শ্রেয়াস তালপাড়ে, অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী এবং পুপুল জয়কারের সহ অন্যান্যরা। এই প্রসঙ্গে কঙ্গনা আগেই স্পষ্ট করেছিলেন যে জরুরী অবস্থা নিয়ে এটি একটি রাজনৈতিক নাটক হলেও এটি ইন্দিরা গান্ধীর বায়োপিক নয়।