মহানগর ডেস্ক: হয়ে গেল রাজস্থানের বিধানসভা ভোটপর্ব। শনিবার রাজস্থান (Rajasthan) বিধানসভা নির্বাচন নির্বিঘ্নে হয়েছে। সিকার, ধোলপুর এবং দেগ জেলার মতো কিছু এলাকায় পাথর ছোড়া এবং সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটলেও বেশিরভাগ অঞ্চল শান্তিপূর্ণ ছিল। আজ বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ৬৮ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছে। রাজ্যে নতুন রাজ্য সরকার নির্বাচনের জন্য কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) সঙ্গে দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যক্ষ করছে।
সিকারে অসন্তোষ সৃষ্টি করার জন্যে ছয় থেকে সাতজনকে আটক করা হয়েছে এবং এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে পাথর ছোড়ার পর CAPF (সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স) দল মোতায়েন করা হয়েছে। সিকারের এসপি প্যারিস দেশমুখ বলেছেন, এখন পরিস্থিতি পুলিশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এছাড়াও, ধোলপুরেও পাথর ছোঁড়া হয়েছিল, তবে গুলি চালানোর কোনও লক্ষণ ছিল না, বারির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিল কুমার আগরওয়াল জানিয়েছেন। “পোলিং বুথগুলি একেবারে নিরাপদে ছিল। কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পরিবেশ এখন শান্তিপূর্ণ।”
দেগ জেলার কামানের সানওলার গ্রামে পাথর ছোড়ায় এক পুলিশকর্মীসহ ২ জন আহত হয়েছেন।ডিইগ পুলিশ সুপার (এসপি) ব্রিজেশ উপাধ্যায় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলছেন, “পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বাতাসে ১২ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে। তাই কয়েক মিনিটের জন্য ভোটিং ব্যাহত হয়েছিল।” পালি ও উদয়পুর জেলায় ভোট কেন্দ্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই ব্যক্তির। একজন প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট এবং একজন বয়স্ক ভোটারের মৃত্যু হয়েছে। ১৯৯ টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫১,০০০ টিরও বেশি বুথে ভোটগ্রহণ সকাল ৭ টায় শুরু হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ৬ টায়। তবে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক প্রবীণ গুপ্তা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে যারা বুথে এসেছেন তারা ভোট দিতে পারবেন। আগের দিন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং আরও বেশ কয়েকজন নেতা রাজস্থানের জনগণকে বিপুল সংখ্যক ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শেখাওয়াত বলেছেন, “বিজেপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসছে। কংগ্রেসের পাঁচ বছরের শাসনামলে নারীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ, পেপার ফাঁসের ঘটনা এবং দুর্নীতির কথা মাথায় রেখেই মানুষ এবার ভোট দেবে।” গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় কালে নেতারা তাদের নিজ নিজ দল জনগণের ম্যান্ডেট পাবে বলে আস্থা প্রকাশ করেছেন।