মহানগর ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। হয়েছে দুই পর্বের ভোটও। তবে সেই সঙ্গেই জারি হয়েছে প্রচার। ময়দানে নেমেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে প্রধান বিরোধী দলের নেতারা। প্রচারের ময়দান থেকেই এবার রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে। যা রীতিমত রাজনৈতিক মহলে ঝড় তুলেছে। ওয়েনাড লোকসভা আসনে জয় নিশ্চিত করতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে “নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) এর কাছ থেকে সহায়তা চাওয়ার” অভিযোগ এনেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে ঝড় উঠেছে।
জানিয়ে রাখা ভাল, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন চালু করে ২০২২ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছিল যে PFI এবং এর সহযোগীরা ISIS-এর মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং “দেশবিরোধী অনুভূতি” প্রচার করেছিল। কংগ্রেসের দক্ষিণ গোয়ার প্রার্থী ভিরিয়াতো ফার্নান্দেস বলেছিলেন যে, ভারতীয় সংবিধান গোয়ানদের উপর “চাপানো” হয়েছিল। সেই মন্তব্যের কয়েকদিন পরেই প্রধানমন্ত্রী শনিবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, মন্তব্যগুলি ভোট ব্যাঙ্ক দখল করার জন্য কংগ্রেসের “ষড়যন্ত্রের” অংশ।করে বলেন, “শুধু ভোট ব্যাঙ্কের জন্য, কংগ্রেস ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ এবং আমাদের সংবিধানের চেতনাকে অপমান করছে ।”
এদিন প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন যে, কংগ্রেস ভোটের স্বার্থে নিষিদ্ধ পিএফআই-কে সমর্থন নিচ্ছে যারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনকারী দেশবিরোধী সংগঠন। বলেছেন, “ওয়ায়ানাদে একটি আসন জিততে, আপনি কি তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করছেন? বিজেপি পিএফআইকে নিষিদ্ধ করেছে এবং তার নেতাদের জেলে ভরেছে।” এদিন কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদী বলেন, “তারা (কংগ্রেস) বলে, আপনি আপনার সন্তানদের জন্য যা সঞ্চয় করেন তা আপনি দিতে পারবেন না। যদি আপনাকে দিতেই হয় তবে আপনাকে তার উপর ৫৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে… তার ভোটব্যাঙ্কে বিতরণ করতে তারা আপনার সম্পদ দখল করতে চায়।” এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভাল, ওয়ানাড থেকে লোকসভায় লড়াই করছেন রাহুল গান্ধী এবং দ্বিতীয় দফায় ইতিমধ্যেই ভোট হয়ে গিয়েছে।