মহানগর ডেস্ক: মালদা লোকসভায় তৃণমূলকে সাথ দেয়নি। এবার কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে তৃণমূলকে দিন, বাংলায় ইন্ডিয়া জোট হয়নি,তৃণমূল একাই বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে, মালদার কালিয়াচকের সভা থেকে এই কথা বললেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বক্তব্যে মমতার গলায় রীতিমতো আক্ষেপের সুর ফুটে ওঠে।
মমতা এদিন বলেন, “মালদা জেলায় কোনও দিন লোকসভা আসন পাইনি। বিধানসভায় মালদা আমাদের ঢেলে আসন দিয়েছেন। সেই কারণেই বিজেপি-কে রুখে দিতে পেরেছিলাম। বাংলায় কংগ্রেস জিতবে না মনে রাখবেন। বাংলায় কোনও জোট নেই, তৃণমূল একা লড়ছে। বাংলায় কংগ্রেসের জোট সিপিএমের সঙ্গে। বাংলায় কংগ্রেস-সিপিএম আসন ভাগাভাগি করেছে। দিল্লিতে বিজেপি-কে রুখতে বাংলায় ভোট কাটাকাটি নয়। বাংলা কারও কাছে আত্মসমর্পণ করে না। বাংলা নিজের দাবি ছিনিয়ে আনবে। সংসদে সরব হবে না, টিকি দেখা যাবে না,তাঁকে ভোট দেবেন কেন? ভোট কাটাকাটি করে বিজেপিকে জেতাবেন না।”
বিজেপি-র পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস-সিপিএমকে। তিনি বলেছেন, বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস বিজেপির মুখ।
এসএসসি চাকরি দুর্নীতি মামলার রায় প্রসঙ্গে মমতা এদিন বলেন, “যত চাকরি খাচ্ছে বিজেপি, সিপিএম-এর উকিলদের দিয়ে। কংগ্রেস দালালি করছে। যতটুকু আছে সিপিএমের সঙ্গে আছে। ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকরি খেয়ে নিয়েছে। ভোট কাটাকাটি করে বিজেপি-কে জেতাবেন না। সংখ্যালঘুদের জীবন নিয়ে আমি খেলতে দিইনি। সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে সদা তৎপর রাজ্য সরকার। মানুষখেকো বাঘ দেখেছেন, এরা চাকরিখোকো বাঘ। প্রধানমন্ত্রী এসে বলে দিলেন সব তৃণমূলের জন্য হয়েছে। চাকরিহারাদের পাশে আমরা আছি। দেশের প্রধানমন্ত্রী লোকের চাকরি খান।”
মমতা এদিন এই সভা থেকে আবার বলেন, “ইন্ডিয়া জোট বাংলায় নেই। আমার সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের সব শীর্ষ নেতাদের যোগাযোগ আছে। কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোটই সরকার গড়বে। আমি কাঠবেরালির কাজ করব। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ইসবার ৪০০ পার, আমি বলছি, ইসবার পগারপার।”
মমতা এদিন বলেন, “বিজেপি সব বিক্রি করে দেবে। এখানে সিএএ, ইউসিসি হতে দেবো না। এদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হয়ে এখন এদের নাগরিকত্ব আছে কি না তা নিয়ে ছলনা? ভোটে জিতে সব ভুলে যাচ্ছো? এদের একটা ভোটও দেবেন না। এরা এলে আপনার সব অধিকার কেড়ে নেবে। মাছ, মাংস, ডিম সব বন্ধ করে দেবে। কে কি খাবে, কে কি পরবে সব এই বিজেপি ঠিক করে দিচ্ছে।”
মমতা এদিন বলেন, “বাংলায় ইন্ডিয়া জোট নেই। এখানে সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছে। আমি ইন্ডিয়া জোটের নাম দিয়েছি। আমি কংগ্রেসকে বলেছিলাম, তোমাদের দুটো আসন দিচ্ছি, তোমাদের তো বিধানসভায় কোনও আসন নেই, কংগ্রেস আমার কথা শোনেনি। আমি ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তাই বলছি দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের সরকার গড়তে হলে বাংলায় আমাদের ভোট দিন, কংগ্রেস বা সসিপিএমকে নয়।”