মহানগর ডেস্ক: সন্দেশখালি নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা যায়নি অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান এবং শিবু হাজরার নাম, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সন্দেশখালির গ্রামবাসিরা।
মাস খানেক আগে সন্দেশখালিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল ইডি-র আধিকারিকদের। আক্রান্ত হয়েছিলেন সাংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও। সেই ঘটনায় উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের নেতা শেখ শাহজাহান তার পর থেকে কোথায়, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও রাজ্যের কেউ জানে না। তার মধ্যেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে সেই সন্দেশখালি। গত বৃহস্পতিবার থেকে কার্যত আগুন জ্বলছে সন্দেশখালি জুড়ে। কোথাও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও মার খেতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। মহিলাদের উপর তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে এখানকার অত্যাচারিত মহিলারা শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন। সন্দেশখালি জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী সোমবার আরামবাগের সভায় যোগ দিতে যাওয়ার আগে ডুমুরজলায় মমতা বলেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি রাজ্য মহিলা কমিশনের টিমকে ওখানে পাঠিয়েছি।” তবে সন্দেশখালির মহিলারা তাঁদের বিরুদ্ধে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারের কাছ থেকে মধ্যরাতে ডাকার যে অভিযোগ করেছেন সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী করেননি। মুখ্যমন্ত্রী জানাননি শেখ শাহজাহানকে এবং শিবু হাজরাকে কেন এখনও পুলিশ গ্রেফতার করছে না।
তবে মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালি নিয়ে তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে গ্রামবাসিরা নাম করে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাহলে কেন এখনও কোন যাদুবলে অধরা শেখ শাহজাহান এবং শিবু হাজরা? তবে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সন্দেশখালি যাওয়াকে মুখ্যমন্ত্রী স্বাগত জানান। মমতার সঙ্গে আরামবাগ সফরে ঘাটালের সাংসদ দেব রয়েছেন।