মহানগর ডেস্ক: বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে ৫০ জন ছাত্রকে ব্যাপক প্রহার(Principal thrashes Students) করলেন ওই বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল। ঝাড়খণ্ডের পালামুর ঘটনায় উঠেছে নিন্দার ঝড়। শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে জানায়, একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কারণে তারা সেদিন স্কুলে আসতে পারেনি। সোমবার ছাত্ররা স্কুলে না আসায় মঙ্গলবার ওই স্কুলের অধ্যক্ষ প্রায় ৫০ জন ছাত্রকে ব্যাপক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ।
সোমবার গ্রামে অনুষ্ঠিত একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা “কলস যাত্রা”তে অংশগ্রহণের কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে না পারায় এই ঘটনা ঘটে। শিশুদের এক আত্মীয় জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রদেরকে একটি সারিতে দাঁড় করানো হয়। তার পরেই ইন্ডিয়ান পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষ তাঁদের প্রত্যেককে লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের কাছে জানিয়েছে, তারা স্কুলে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেও, প্রিন্সিপাল তাদের পিঠে লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে দাগ বসিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এমনকি এই ঘটনা অভিভাবকদের জানাতে কঠোরভাবে নিষেধ করে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। যদিও বাড়ি পৌঁছে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের কাছে স্কুলে মারধরের কথা জানিয়ে দেয়।
অন্যদিকে স্কুলের প্রিন্সিপাল ছাত্রছাত্রীদের মারধর (Principal thrashes Students) করার কথা একেবারে অস্বীকার করেছেন। বলেছেন যে তিনি কোনও ছাত্রকে মারধর করেননি। তাঁর কথায়, “অভিযোগগুলি ভুল। আমি কোনো শিশুকে আঘাত করিনি”। তিনি বলেন, অভিভাবকরা প্রায়শই তাঁর কাছে অভিযোগ করতেন যে, তাদের বাচ্চারা উৎসবের সময় স্কুল যাচ্ছে না। তিনি যেনো বাচ্চাদের উপস্থিতির দিকে নজর দেন। পুলিশ জানায়, এই ঘটনাটি সম্পর্কে অভিভাবকদের সঙ্গে পুলিশের যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে পুলিশ স্টেশনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ডাকা হয়েছে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের। একসঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে তারপর পদক্ষে গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।